চতুর্থ দফার লকডাউন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।কেন্দ্র আগেই ঘোষণা করেছে ৩১ মে পর্যন্ত চলবে চতুর্থ দফার লকডাউন।রাজ্যেও একই সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে এই চতুর্থ দফার লকডাউনে বেশকিছু ক্ষেত্রে ছাড়ও ঘোষণা করলেন তিনি।
একনজরে দেখে নিন সেগুলিঃ-
- রাজ্যে ৩১ মে পর্যন্ত চতুর্থ দফার লকডাউন।
- বুথ অনুযায়ী এবং গ্রামগুলিতে কন্টেনমেন্ট জোনকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।এ, বি, সি। এ- অ্যাফেক্টেড জোন, বি- বাফার জোন, সি- ক্লিন জোন।
- এ জোন ছাড়া বাকি জায়গায় ২১ মে থেকে বড় দোকান সব খুলে যাবে।
- হকার মার্কেটগুলি কী হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গড়া হবে ২৭ তারিখের মধ্যে।
- দোকানদারদের গ্লাভস ও মাস্ক বাধ্যতামূলক।
- আন্তঃরাজ্য বাস ২১ তারিখ থেকে চালু হবে।সরকারি বাস চালানো হবে। বেসরকারি বাস মালিকেরা সোশাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে বাস চালাতে পারবেন।
- অটোরিকশা ২৭ তারিখ থেকে চলবে।কিন্তু অটোতে ২ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না।
- খেলা চলবে।কিন্তু মাঠে কোনও দর্শক থাকতে পারবেন না।
- সেলুন ও বিউটি পার্লার খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে যে সামগ্রী দিয়ে চুল দাড়ি কাটা হবে তা স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।
- শিল্পক্ষেত্রগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে কাজ করা যাবে।
- সরকারি ভাবে এ রাজ্যে কার্ফু ঘোষণা করা হচ্ছে না।
- বাংলাদেশ থেকে বিমানে আজ ১৭০ জন এসেছেন।তাঁদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে।এছাড়াও ইতিমধ্যে ২ লক্ষ লোক ট্রেনে বাসে করে এসেছেন।
- এর মধ্যে ১৬টা ট্রেন এসে গেছে।আগে প্রতি ট্রেনে ১২০০ লোক আসছিল, এখন ১৮০০ লোক আসছে।ট্রেনে আসার পর শ্রমিকদের চেক আপ করে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
- পনেরো দিনের মধ্যে আরও ১২০টা ট্রেন চাওয়া হবে।আমরা চেষ্টা করব ১৫ দিনের মধ্যে যথাসম্ভব শ্রমিককে ফিরিয়ে আনার।রোজ দশটা করে ট্রেন ঢোকানো হবে।
- ২৩৫টা ট্রেন ঢুকছে মানে বোঝা যাচ্ছে সাড়ে চার লক্ষ লোক ঢুকে যাবে।
- ওই শ্রমিকরা যেখানে পৌঁছবে, সেখানে নজর রাখা হবে।
- জেলায় কোথায় কত লোক ঢুকতে পারবে, কতটা ক্যাপাসিটি রয়েছে, তাও তো দেখতে হবে।
- গ্রাম বাংলায় অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু হয়ে গেছে।
- মুখ্যসচিবকে বলেছি, নার্স নিয়োগ করুন।দরকার হলে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের ট্রেনিং দিয়ে কাজে নিন।যেমন মেল হেল্পার বা ফিমেল হেল্পার।
- দোকানে গিয়ে ভিড় করবেন না।