আলিপুরদুয়ার,১০ জুনঃ নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই আলিপুরদুয়ারের বর্ষা পারভিনের।বেনামি স্কুল থেকে পড়াশোনা করেও উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার বর্ষার।
আলিপুরদুয়ারের প্রত্যন্ত বনবস্তি কলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বর্ষা শীলবাড়ি হাট হাইস্কুলের ছাত্রী।তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩।কলা বিভাগের ছাত্রী বর্ষার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার।বাবা মতিয়ার রহমান ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন।বর্ষারা তিন ভাই-বোন।ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।এতো আর্থিক অনটনের পড়েও লড়াই ছাড়েনি বর্ষা।তার সাফল্যে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে গোটা গ্রাম।খুশি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠীরাও।
বর্ষার কথায়, সেরা দশের মধ্যে থাকব ভাবিনি।যখনই ভেঙে পড়েছি তখনই আমার মা-বাবা আমাকে সাহস জুগিয়েছে।শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পাশে থেকেছেন।আগামীতে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বসে সফল হতে চায় বর্ষা।
অন্যদিকে মেয়ের সাফল্যে আনন্দে চোখে জল ধরে রাখতে পারছেন না বর্ষার মা।তিনি জানান, প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেনি।খুবই কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে মেয়ে।আমরা খুবই খুশি।
বর্ষার বাবা মতিয়ার রহমান জানান, খুবই ভালো লাগছে। অনেক কষ্টে করে লেখাপড়া করেছে মেয়ে।কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছে ও।
বর্ষার স্কুলের প্রধান শিক্ষক পীযূষ কুমার রায় বলেন, আমাদের জন্য খুবই গর্বের বিষয়।প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার দুঃস্থ পরিবারের মেয়ে হয়ে বর্ষা যে সাফল্য অর্জন করেছে তা খুবই গর্বের বিষয়।কলেজে ভর্তির বিষয়ে আর্থিকভাবে বর্ষাকে স্কুলের তরফে সাহায্য করা হবে।