রাজগঞ্জ, ১৫ জানুয়ারিঃ পৌষ সংক্রান্তি মানেই পিঠে পুলির দিন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কদর হারিয়েছে চাল গুড়ো করার ঢেঁকি।এই প্রজন্মের অনেকেই ঢেঁকি এবং ছাম- গাইন চেনে না। তবে গ্রামে এখনও কিছু বাড়িতে রয়েছে পুরনো রীতি।ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করে পৌষের পিঠে-পুলি বানান তারা।
রাজগঞ্জ ব্লকের কয়েকটি গ্রামে দুই-একটি পরিবারে এখনও ঢেঁকি দেখতে পাওয়া যায়।ছাম- গাইনের সংখ্যাটা একটু বেশি।রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ির মহামায়া কলোনির কয়েকটি পরিবার এখনও ঢেঁকি ব্যবহার করেন।সারাবছর তারা ঢেঁকির কথা ভুলে গেলেও শীতের মরশুমে বিশেষ করে পৌষ মাসে ঢেঁকির কথা মনে পড়ে। পৌষ পার্বনের আগে ঢেঁকি ধুয়েমুছে সচল করে দু-একদিন ব্যবহার করেন।পৌষের পিঠেপুলির পর্ব শেষ হয়ে গেলে ঢেঁকির কদরও শেষ হয়ে যায়।
তারা বলেন,ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করে পিঠে-পুলি তৈরি করলে সেই পিঠের স্বাদই আলাদা। বাজারে চালের গুঁড়ো এবং রেডিমেড পিঠে-পুলি পাওয়া গেলেও ঢেঁকির চালের গুঁড়োর স্বাদের সঙ্গে তুলনা হয়না। অনেকেই ঢেঁকির কথা ভুলে গিয়েছে। এই প্রজন্মের অনেকেই ঢেঁকি চেনে না।