রাজগঞ্জ, ৯ এপ্রিলঃ নাবালিকার বিয়ে না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় এক আশাকর্মীকে মারধর।আশাকর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর, গালিগালাজ ও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাবালিকার পরিবারের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে।
বুধবার আশাকর্মীরা একত্রিত হয়ে রাজগঞ্জ বিডিও অফিস এবং রাজগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপি জমা দেন।
অভিযোগকারী আশাকর্মী মালবিকা রায় বলেন, সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিতলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন আশাকর্মী তিনি।গত ৬ এপ্রিল জানতে পারেন তার এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হবে। সেদিন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন নাবালিকার বাবা মা বাড়িতে নেই।পরেরদিন নাবালিকার বাবার সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয় আশাকর্মীর।সেইসময় নাবালিকার বিয়ে দেওয়া যায় না জানান তাকে।১৮ বছর হলে মেয়ের যেখানে বিয়ে ঠিক হয়েছে সেখানেই বিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।এরপর নাবালিকার বাবা সেখান থেকে চলে যায়।পরের দিন সন্ধ্যায় নাবালিকার বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা আশাকর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়।আশাকর্মীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে রাস্তায় এনে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি বাড়িতেও ভাঙচুর করার চেষ্টা চালানো হয়।
এই ঘটনা দেখে মহিলার পরিবারের সদস্য ও তার স্বামী বাঁচাতে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজগঞ্জ থানার পুলিশ।সেই সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সরে যায়।পুলিশ তদন্তে নেমে নাবালিকার পরিবারের দুজনকে গ্রেফতার করে।
আজ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজগঞ্জ বিডিও অফিস এবং রাজগঞ্জ থানায় স্মারকলিপি জমা দেন আশাকর্মীরা।
আশাকর্মীরা বলেন, কাজ করতে গিয়ে তারা হেনস্থার শিকার হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন তারা।
