জলপাইগুড়ি,২৩ মার্চঃ আট মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামী কলকাতা পুলিশে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে।ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।মঙ্গলবার ঘটনা ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্নাসী মোড়ে।মৃত গৃহবধূর নাম টুম্পা দাস অধিকারী(২৯)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১২ সালে জলপাইগুড়ি শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা নারায়ন অধিকারীর মেয়ে টুম্পার সঙ্গে মণ্ডলঘাটের বাসিন্দা হেমন্ত দাসের বিয়ে হয়।হেমন্ত কলকাতা পুলিশে কর্মরত রয়েছে।তাদের ছয় বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে ছুটিতে হেমন্ত বাড়িতে আসতো। এখানে এসেই জুয়ার আসরে সামিল হত সে।প্রতিবাদ করাতে প্রতিদিন গর্ভবতী স্ত্রী টুম্পার ওপর অত্যাচার চালাত সে।সোমবার গভীর রাতেও টুম্পাকে মারধর করে হেমন্ত।হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়।এছাড়াও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়।অভিযোগ, গভীর রাতে হাসপাতালে মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী হেমন্ত দাস।পরে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মৃতার ভাই গোপাল অধিকারী বলেন, আমার দিদিকে খুন করা হয়েছে।আমরা চাই পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।