শিলিগুড়ি,১৩ আগস্টঃ দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিল দোকান।যে কারণে মাইক্রো ফিন্যান্স কোম্পানি থেকে নেওয়া লোন মেটাতে পারেনি যুবক।অভিযোগ,কোম্পানির তরফে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল যুবককে।আর সে কারণেই যুবক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
শিলিগুড়ির শালুগাড়ার নেতাজি নগরের বাসিন্দা ছিলেন বিকি প্রসাদ কানু।গত ৮ আগস্ট বাড়ির পাশে একটি মাঠ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।পরিবারের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে এক মাইক্রো ফিন্যান্স কোম্পানি থেকে ৩৮ হাজার টাকার লোন নিয়েছিলেন বিকি।তার কিস্তিও দিচ্ছিলেন তিনি।এরপর জুলাই মাসে সেই লোনের সমস্ত কিস্তি মিটিয়ে ১১ হাজার টাকা লোন নেন বিকি৷পরিবারের অভিযোগ,সেই লোনের দুই সপ্তাহের কিস্তি দিতে না পারায় ওই ফিন্যান্স কোম্পানির এক কর্মী বিকি প্রসাদ কানুর ওপর মানসিক চাপ দিতে শুরু করে।বাড়ির কাছেই বিকির চায়ের দোকান ছিল।কিন্তু লকডাউন চলাকালীন তাদের দোকান বন্ধ ছিল৷সে কারণে টাকা দিতে দেরি হবে বলে জানানোও কর্মীকে।কিন্তু অভিযোগ,এরপরও ক্রমাগত ওই ফিন্যান্স কোম্পানির কর্মী তাকে লোন পরিশোধ করার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিল।এরপরই বিকির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
কোম্পানির ওই কর্মীর চাপেই বিকি আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ মৃতের আত্মীয় রাকেশ প্রসাদের।ঘটনার পর ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।