শিলিগুড়ি, ১৮ জুলাইঃ বয়স তাঁর কাছে শুধু সংখ্যা মাত্র।করোনা তাকে ছুতেও পারেনি।উলটে করোনাকে হারাতে কয়েকদিন আগেই টিকাও নিয়ে নিয়েছেন।পরিবারের সকলকে এখন টিকা নেওয়ার কথা বলছেন তিনি।আর তাকে দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই।শিলিগুড়ির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জোৎস্নাবালা মজুমদার।বয়স ১০৪ বছর।এই বয়সেও তিনি দিব্যি হাঁটাচলা করেন।সিড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করেন।লাঠিতে ভর দিয়ে টিকাও নিতে যান।আর ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জেও তাঁর একটুও ভয় নেই।আর থাকবেই বা কেন।তার কথা, ছোটবেলা থেকে অনেক ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ শরীরে ফুটেছে।এখন এসব অভ্যেস হয়ে গিয়েছে।
জোৎস্না দেবীর পরিবারে ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনি সকলেই আছেন।২ মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।ছেলেরাও সঙ্গে থাকে।তাদের নিয়ে এখন সুখের সংসার করছেন।আর করোনার সময়ে তার দেখভালেও কোনো খামতি রাখছেন না পরিবারের সদস্যরা।
১৬ জুলাই ওয়ার্ড কমিটি ও প্রাক্তন কাউন্সিলর কমল আগরওয়ালের উদ্যোগে টিকাও নিয়েছেন জোৎস্নাদেবী।টিকা নিলেও সামান্য জ্বরও পর্যন্ত আসেনি।একটু হাতে ব্যাথা হলেও তা কমে গিয়েছে।তবে এই বয়সেও কীভাবে সুস্থ থাকা যায় তা মাঝেমধ্যেই প্রতিবেশীদের বলেন জোৎস্নাবালা মজুমদার।দিনে একবেলা ভাত খান।অন্যান্য সময় খই, ফল, জুস ইত্যাদি খেয়ে থাকেন।মাঝেমধ্যে তাঁর মেনুতে থাকে মাছও।হাইপ্রেসার ছাড়া আর কোনও রোগ সেভাবে তাকে ছুঁতেও পারেনি।বার্ধ্যকের কারণে কানে একটু কম শোনেন।তবে সেসবে অতো পাত্তা দেন না।সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা, ঘরে বসে টিভি দেখা থেকে শুরু করে নাতিদের নিয়ে গল্প করে সময় কাটান তিনি।আর তাঁকে দেখে এখন আশপাশের বাসিন্দারাও বয়সে সেঞ্চুরি হাকানোর স্বপ্ন দেখছেন।