রাজগঞ্জ, ৬ জুলাইঃ ভাভা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে গবেষণা করার সুযোগ পেলেন রাজগঞ্জের তুষার কান্তি রায়।
রাজগঞ্জ ব্লকের বৈকন্ঠপুর জঙ্গল ঘেঁষা বেলাকোবা সংলগ্ন মালিভিটা গ্রামের বাসিন্দা তুষার কান্তি রায়। মুম্বাইয়ের ভাভা পারমানবিক গবেষণা কেন্দ্রে সাইন্টিফিক অফিসার হিসেবে গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।এই খবরে খুশির হাওয়া পরিবার সহ গোটা রাজগঞ্জ জুড়ে।
জানা গিয়েছে, তুষার ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত।তার বাড়িতে মা ও ভাই রয়েছে। তুষারের মা অনিমা রায় সাধারণ গৃহবধূ।জমিতে চাষ করেই তাদের সংসার চলে।বাবা সুভাষ রায় শিক্ষা দপ্তরের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন।তিন বছর আগে তার মৃত্যু হয়।ছোট ভাই প্রণব রায় পিএইচডি করছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে।অনেক কষ্টে দুই ছেলের পড়াশুনা চালাচ্ছেন মা অনিমা।
তুষার বেলাকোবা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন।শিলিগুড়ি কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে অনার্স নিয়ে বিএসসি পাস করে গোয়াহাটি আইআইটিতে ভর্তি হন।সেখান থেকে এমএসসি পাস করেন।এবছরেই গেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মুম্বাইয়ের ভাভা পারমানবিক গবেষণা কেন্দ্রে বিজ্ঞানী পদের জন্য আবেদন করেন।লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করার পর ভাভা পারমানবিক গবেষণা কেন্দ্রে যোগদানের জন্য তার কাছে চিঠি এসেছে।
এই বিষয়ে তুষার কান্তি রায় জানান, চিঠিটি পাওয়ার পর থেকেই খুব ভালো লাগছে।দেশের অন্যতম গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছি।অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।আগামীদিনে দেশের জন্য গবেষণা করে কিছু করতে চাই।