শিলিগুড়ি,১৫ জুলাইঃ তাঁরা চোখে দেখতে পাননা। প্রিয় মানুষটিকেও চোখে দেখেননি একবারও। কিন্তু মনের মধ্যেই প্রিয় মানুষের ছবি যেন এঁকেছেন। মনের মিল থেকেই ছাদনাতলা অবধি পৌঁছালেন জোৎস্না ও বাপি।
বুধবার রাতে বিধাননগরে ভিমবার স্কুলে চার হাত এক হল। ছোটবেলা থেকেই জোৎস্না দাস বিধাননগরে ওই স্কুলে পড়াশোনা করেন। বছরখানেক আগে দিল্লীতে এক কলেজে ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে বাপি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় হয় জোৎস্নার। এরপরই কয়েকদিন আগে বিধাননগরে এসে জোৎস্নাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় বাপি। দু’জনে ভেবেছিলেন মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করবেন। কিন্তু সামাজিক অনুষ্ঠান করে বিয়ে করা স্বপ্ন ছিল তাঁদের। কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে তাঁরা সাহায্যের আবেদন করে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন অনেকে। এরপরই বুধবার রাতে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়। ভিমবারের আবাসিকেরাই আয়োজন করেন। দৃষ্টিহীন পড়ুয়ারা বাজনা বাজিয়ে আনন্দে মাতেন। মেনুতেও ছিল নানা পদ। নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতেও সেখানে যান অনেকে।