গজলডোবা, ২৮ সেপ্টেম্বরঃ গজলডোবায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু একই পরিবারের চারজনের।শনিবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও বিধায়ক খগেশ্বর রায় সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।
শুক্রবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবা সংলগ্ন টাকিমারির ধুপগুড়ি বস্তি।বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় একই পরিবারের চারজনের।মৃতদের মধ্যে এক শিশু ও মহিলা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির কর্তা পরেশ দাস মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়িতে ঢুকছিলেন।সেই সময় ঝুলে থাকা একটি বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে আসে গরুটি।গরুকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন পরেশ দাস।তাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তার ছেলে মিঠুন দাস।তিনিও বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে ছটফট করতে থাকেন।তাদের চিৎকার শুনে মিঠুনের মা দিপালী দাস নাতি সুব্রত অধিকারীকে কোলে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।তারাও বিদ্যুৎপষ্ট হয়।চারজনই অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।ঘটনার পর চারজনকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে আজ সকালে গজলডোবা সংলগ্ন ১ নম্বর টাকিমারির ধুপগুড়ি বস্তি এলাকায় শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মেয়র গৌতম দেব এবং বিধায়ক খগেশ্বর রায়।পরিবারটিকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পাশে থাকার আশ্বাস দেন তারা।
এই বিষয়ে মেয়র গৌতম দেব জানায়, খুবই দুঃখজনক মর্মান্তিক ঘটনা।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম।এছাড়া বিদ্যুৎমন্ত্রীও ঘটনাস্থলে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।অসহায় পরিবারটির কিছু আবেদন রয়েছে সেই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।