শিলিগুড়ি,৮ অক্টোবরঃ ‘আগামী সাতদিনের মধ্যে শহরকে জঞ্জালমুক্ত করতে হবে।অন্যথা নিজেরাই কোদাল, বেলচা হাতে শহরকে জঞ্জালমুক্ত করতে নামবেন’।শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এমনটাই জানালেন দার্জিলিং তৃণমূল জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার।
হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরই গোটা রাজ্য মেতে উঠবে শারদীয়া উৎসবে।করোনা আবহাওয়া কাটিয়ে সকলেই আনন্দে মুখরিত হবে এই সময় কালে।তবে প্রতি বছর পুজোর আগে অর্থাৎ বর্ষার পরপরই শহরের রাস্তাগুলি মেরামতির তোড়জোড় শুরু করে শিলিগুড়ি পুরনিগম।শুধু তাই নয় শহরকে জঞ্জালমুক্ত সহ গরীব মানুষের ভাতা প্রদান করা হয় পুরনিগমের পক্ষ থেকে।তবে এবার ব্যতিক্রম।শারদীয়া উৎসব দোরগোড়ায় কড়া নাড়লেও পুরনিগমের পক্ষ থেকে এই সমস্ত বিষয় গুলির উপর কোনরোকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের।অবশেষে আজ এই বিষয়গুলি নিয়ে পুর প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্যের দ্বারস্থ হন পুরনিগমের বিরোধী কো-অর্ডিনেটররা।
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দাবিতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন পুর প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্যের হাতে।আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি এই সমস্ত বিষয়ের ওপর পুরনিগমের পক্ষ থেকে কোনরূপ উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয় তাহলে পুজোর সময় নিজেরাই কোদাল, বেলচা হাতে-রাস্তায় নামবেন বলে জানান দার্জিলিং তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রঞ্জন সরকার।
অন্যদিকে বিরোধীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল পুর প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য। তিনি জানান, করোনা, বর্ষা ও পুর আধিকারিকদের অসুস্থতার কারণে কিছু কাজ থমকে রয়েছে।তবে দ্রুত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে শহরকে চেনা ছন্দে ফিরিয়ে আনা হবে।