কোচবিহার, ২৩ সেপ্টেম্বরঃ রাজ আমলের ৫০০ বছরের ঐতিহ্য মেনে রাধা অষ্টমীতে অনুষ্ঠিত হল কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী বড় দেবীর পুজো।
নিয়ম মেনে শুক্রবার রাতে মদনমোহন বাড়ি থেকে মাতৃরুপী ময়না কাঠকে কোচবিহার বড় দেবী বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।আজ সেখানে বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ময়নাকাঠ প্রতিস্থাপন করা হল।এরপর তিনদিন ধরে ময়না কাঠকে হাওয়া খাওয়ানো হবে।৩ দিন পর শুরু হবে বড় দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ।বংশপরম্পরায় চিত্রকর পরিবারের সদস্য প্রভাত চিত্রকর খড় ও মাটির কাজ শুরু করবেন।
মহালয়ার দিন শেষ হবে প্রতিমা তৈরির কাজ।মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষুদান করা হবে।আজ এই বিশেষ পুজোয় উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, দেবত্র ট্রাস্টবোর্ডের বড়বাবু জয়ন্ত চক্রবর্তী , দুয়ার বক্সি সহ অন্যান্যরা।
কোচবিহারের মহারাজাদের স্থাপন করা দেবী বাড়িতে, বড় দেবীর পুজো প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো।শ্রাবণ মাসের শেষে শুক্লা অষ্টমী তিথিতে কোচবিহারের গুঞ্জাবাড়িতে ডাঙ্গরাই মন্দিরে ময়না কাঠ পুজোর মধ্য দিয়ে বড় দেবীর পুজোর সূচনা হয়।সেখানে মাতৃরূপী ময়না কাঠকে কাপড় পরিয়ে, সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় মদনমোহন বাড়িতে।পুরো এক মাস সেখানে পুজো অনুষ্ঠিত হওয়ার পর রাধা অষ্টমী তিথিতে নিষ্ঠা সহকারে শুরু করা হয় এই ময়না কাঠের পুজো ও বড় দেবীর প্রতিমা তৈরির কাজ।এবছরও তাঁর অন্যথা হয়নি।
এখানে বড়দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তি, দেবী দুর্গার অন্যান্য মূর্তি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়।বড় দেবীর গায়ের রং লাল।দেবীর বাহন এখানে সিংহ নয় থাকে বাঘ, বড় দেবীর সাথে থাকেন জয়া এবং বিজয়া।
কোচবিহারের মহারাজাদের স্বপ্নাদেশের ভিত্তিতেই ৫০০ বছর ধরে এই বড় দেবীর পুজো হয়ে আসছে কোচবিহারে।