রাজগঞ্জ, ১০ জানুয়ারিঃ আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলো এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।টাকা ফেরত না পেয়ে পুলিশের দারস্ত চাকরিপ্রার্থী।গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক।অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সন্তোষ বর্মন।মূলত কোচবিহার জেলার শীতলকুচির বাসিন্দা হলেও কয়েকবছর থেকে আশিঘর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি।।অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের আমবাড়ি চিন্তামোহন হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক।
অভিযোগকারীর নাম বাপ্পা মালাকার।বাড়ি কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা এলাকায়।অভিযোগ, ওই স্কুল শিক্ষক কয়েকজন শিক্ষিত বেকারকে স্কুলে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন।এরপর কোনো চাকরি পাননি তারা।এরপর টাকা ফেরত চাইলে কোন টাকা দেবেন বলে জানিয়ে দেন।এরপরই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমবাড়ি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেন বাপ্পা মালাকার।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শিক্ষক সন্তোষ বর্মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতকে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই বিষয়ে প্রতারিত যুবক বাপ্পা মালাকার বলেন, ওই শিক্ষক আমাকে আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন বছর আগে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।শুধু আমি না, আরও কয়েকজনের কাছ থেকে এভাবেই টাকা নিয়েছেন।কিন্তু চাকরির ব্যবস্থা করেননি।গত ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষকের শিলিগুড়ির বাড়িতে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি টাকা ফেরত দেবেন না বলে হুমকি দেন।এরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ করি।
এই বিষয়ে আমবাড়ি চিন্তামোহন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত দাস বলেন, ওই শিক্ষক ২০০৯ সাল থেকে এখানে চাকরি করছেন।শিলিগুড়ির আশিঘর এলাকায় বাড়ি তৈরি করে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে রয়েছেন।কয়েক মাস আগে কয়েকজন ওই শিক্ষকের খোঁজ নিতে এসেছিলেন।এরপর গতকাল শুনলাম তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগের প্রতারণার অভিযোগ হয়েছে।যদি ঘটনাটি সঠিক হয় তাহলে শুধু স্কুলের বদনাম নয়, চরম লজ্জার বিষয়।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলে জানান তিনি।