গজলডোবা, ২৮ সেপ্টেম্বরঃ চোখের সামনেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বাবা, মা, ভাই ও দুই বছরের ছেলের মৃত্যু।পরিবারের সকলকে হারিয়ে ঘটনার পর থেকে কেঁদেই চলেছেন বাড়ির মেয়ে সুফলা।মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবা সংলগ্ন টাকিমারির ধূপগুড়ি বস্তি এলাকায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের চারজনের।মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক শিশু ও এক মহিলা।মৃতরা হল পরেশচন্দ্র দাস(৭০), দিপালী দাস(৬০), মিঠুন দাস(৩৫) ও সুব্রত অধিকারী(২)।
পরিবারটি কৃষি কাজের পাশাপাশি গরু পালন করে।শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির কর্তা পরেশ দাস মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়িতে ঢুকছিলেন।সেইসময় ঝুলে থাকা বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে আসে গরুটি।ওই গরুকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন পরেশ দাস।তাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন ছেলে মিঠুন দাস।তিনিও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ছটফট করতে থাকেন।তাদের চিৎকার শুনে মিঠুনের মা দিপালী দাস নাতি সুব্রত অধিকারীকে কোলে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।তারাও বিদ্যুৎপষ্ট হন।চারজনেই অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।সেইসময় বৃষ্টি হওয়ায় প্রতিবেশীরাও প্রথমে বুঝতে পারেনি।পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হতেই ভিড় জমান মানুষ।
এদিকে ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না সুফলা।স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ছুটে আসেন বাড়িতে।তার চোখের সামনেই মৃত্যু হয় ছেলে সহ বাবা, মা ও ভাইয়ের।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভোরের আলো থানার ওসি সন্দীপ দত্ত সহ পুলিশ কর্মীরা।
চারজনকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।