ইসলামপুর,২০ জুলাইঃ কিশোরী হত্যাকান্ড নিয়ে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া।অভিযোগ,ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।এদিকে সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এবার রহস্যজনকভাবে ওই একই জায়গা থেকে উদ্ধার হল কিশোরী হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্তের মৃতদেহ।এই ঘটনায় রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে উঠছে।এদিকে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ইসলামপুরে উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়,কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এবং বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল।যদিও তারা এদিন চোপড়া যেতে চাইলেও ইসলামপুরে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।বলা হয় সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসে দলীয় কার্যালয়ে তিন সাংসদ সহ অন্যান্য দলীয় নেতারা।
সূত্রের খবর, রবিবার চোপড়ার চতুরাগছ এলাকায় যেখানে ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, ঠিক সেই জায়গাতেই রহস্যজনকভাবে একটি জলাশয়ে সেই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত স্থানীয় সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়াগছ এলাকার ফিরোজ আলির মৃতদেহ ভেসে ওঠে।মাত্র চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে পরপর দুটি খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।এদিকে ফিরোজ আলির মৃতদেহ উদ্ধারের পর ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়ে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে প্রথমে চতুরাগছে এবং পরে ভৈসপিটা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা।পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসলামপুর পুলিশ জেলা থেকে পাঠানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
কোচবিহার থেকে ইসলামপুরে এসে দলের অন্যতম প্রতিনিধি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক জানান, যেভাবে রাজনৈতিক ভাবে রাজবংশীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে তা নির্মম।পুলিশ সত্যকে লুকানোর চেষ্টা করছে।তারা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তারা তিনজন সাংসদ এসেছেন।কিন্তু পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।তারা সেখানে গেলে নাকি শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।তারা যাচ্ছেন না।কিন্তু সেখানে যদি কোন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীরা উপস্থিত হন তবে তারাও সেখানে যাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
যদিওহত্যার বদলা হত্যা হিন্দু তথা সনাতনের আদর্শ নয় তবুও কখনও সটাই করতে হয়। কারন ভগবানও অসুর বধ করার জন্য অস্ত্র ধরেছেন জন্য আর্যরা টিকে আছে।