রাজগঞ্জ, ১৩ নভেম্বরঃ অভাবের মধ্যেও দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের মন্দিরে কালীপুজো করেন শিকারপুর চা বাগানের শ্রমিকরা।সেই সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে দুই বছর আগে পুড়ে যাওয়া মন্দির এখনও তৈরি না হওয়ার দুঃখ।জানা গিয়েছে, এবারে ৯৫তম বছরে পদার্পন করল দেবী চৌধুরানী মন্দিরের কালিপুজো।
সামান্য মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের সংসার চালানোই দুষ্কর।তা সত্ত্বেও তারা প্রতিবছর দেবীচৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের মন্দির প্রাঙ্গণে দুর্গাপুজো ও কালীপুজো করেন। প্রতিবছর পুজোর কয়েকদিন শ্রমিকরা আনন্দে মেতে থাকলেও এবছর করোনার কারণে পুজোতে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে জঙ্গল ঘেরা ওই মন্দিরে সন্ন্যাসীদের আস্তানা ছিল।মন্দির প্রাঙ্গণে হাট বসত।তার নাম ছিল সন্ন্যাসীহাট।ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী ওই কালী মন্দিরে পুজো করতেন বলে এলাকায় প্রচলিত আছে।তারপর থেকে শিকারপুর চা বাগানের শ্রমিকরা পুজো করে আসছেন।
পুজোর জন্য বাগান কর্তৃপক্ষ কিছু আর্থিক সাহায্য করলেও আয়োজনের দায়িত্বে থাকেন শ্রমিকরা।কিন্তু দুবছর আগে আগুনে পুড়ে যাওয়া দেবীচৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের মন্দির এখনও তৈরি না হওয়ায় মন খারাপ শ্রমিকদের ।