রাজগঞ্জ, ১৩ জুলাইঃ ভোটার ও আধার কার্ডও থাকলেও নেই বাসস্থান।তাই দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সিপিএমের পার্টি অফিসেই আস্তানা পাগলাহাটের বিশ্বজিৎ গাইন ও তার পরিবারের। সামনেই বিধানসভা ভোট।এই কারণে পার্টি অফিস খালি করার জন্য বলছেন নেতারা।এই পরিস্থিতিতে পরিবারকে নিয়ে কোথায় যাবেন তা ভেবেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ বিশ্বনাথ গাইনের।
রাজগঞ্জের সন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাগলাহাটের বিশ্বনাথ গাইনের নিজের কোনো ঘর নেই।জমি কিনে ঘর করবেন সেই সামর্থও নেই। তাই স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নিয়ে সিপিএমের পার্টি অফিসেই সংসার পেতেছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিদ্যুৎ মেরামতের কাজ করে কোনরকমে সংসার চালান তিনি। তার ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডও আছে। প্রতিবারই ভোট দেন। ৭ বছর থেকে পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়ে থাকলেও মাথা গোজার জায়গা জোটেনি।
বিশ্বনাথ বাবু বলেন, পাগলাহাটই তার স্থায়ী ঠিকানা। বাড়ি বলতে পার্টি অফিস। ভোট এলে কারও বারান্দায় বা হাটের ছাউনির নিচে কয়েকমাস আশ্রয় নেন। আবার ভোট পর্ব শেষ হয়ে গেলে আবারও ফিরে আসেন পার্টি অফিসে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তার এই দুর্দশার কথা জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও জানেন। কিন্তু আজও মাথা গোজার জায়গা জোটেনি। সামনেই ভোট, তাই পার্টি অফিস ছেড়ে দিয়ে আশ্রয় নিতে হবে কারও বারান্দায়।
স্থানীয় সিপিএম নেতারা বলেন, সামনেই বিধানসভা ভোট। দলীয় কর্মসূচির জন্য পার্টি অফিস ব্যবহার করতে হবে। ওই পরিবারটির যাতে কোনো ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। যদি পরিবারটি আমার কাছে আসেন, তাহলে বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানাবো।