শিলিগুড়ি, ২১ জুনঃ ১৫ জুন মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় বাম ও কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চালানোর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল চোপড়া।এই ঘটনায় আহত সিপিএম কর্মী মনসুর আলমের মৃত্যু হল আজ।
জানা গিয়েছে, ঘটনার পর আহত সিপিএম কর্মী মনসুর আলম ও তার কাকা নৈমূল হককে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল।মনসুর আলমকে প্রথমে শক্তিগড়ের একটি নার্সিংহোমে ও পরে খালপাড়ার নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়।সেখানে ছয়দিন লড়াই করার পর বুধবার সকালে মৃত্যু হল মনসুর আলমের।অন্যদিকে নৈমূল হক বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিন সিপিএম কর্মী মনসুর আলমের মৃত্যুর খবর পেয়েই নার্সিংহোমে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, অশোক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বাম কর্মী সমর্থকরা। বিকেলে ময়নাতদন্তের পর তার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন নার্সিংহোমের চিকিৎসক সুমিত কুমার খুটিয়া বলেন,মাথায় কোনো গুলির ক্ষত নেই।তবে ভারী চোট ছিল।রোগীর অবস্থা অনেক আগে থেকেই খারাপ ছিল।আজ ভোরে মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে মৃতের আত্মীয়রা জানান, চোপড়ার ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা মূল অভিযুক্ত নয়।সেখানকার দুই তৃণমূল নেতা মহম্মদ হামিদুল রহমান ও জিয়ারুল রহমানের নেতৃত্বে গোটা চোপড়ায় আগুন জ্বলছে।এই ঘটনার পরেও প্রকাশ্যে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এই বিষয়ে বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, সারা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী পঞ্চায়েতের যে অধিকার তা নিয়ে সংগ্রাম চলছে।তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাদের হাতে আমাদের মনসুর আলম শহীদ হল।এর দায় সম্পূর্ণ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের।