ফুলবাড়ি,৬ ডিসেম্বরঃ প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বার্ধক্য ভাতা। বিডিও অফিসে গিয়ে জানতে পারেন বার্ধক্যভাতার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে নাম। সরকারি রেকর্ডে তিনি নাকি মৃত! অথচ দিব্বি ছোট্ট চায়ের দোকান করে কোনোরকমে সংসার চালাচ্ছেন বছর ৬৮ এর চৈতু মহম্মদ। বুধবার তার বাড়িতে গিয়ে ফের বার্ধক্য ভাতা চালু হওয়ার আশ্বাস দিলেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন।
রাজগঞ্জ ব্লকের ফুলবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের আমাইদীঘী এলাকার বাসিন্দা চৈতু মহম্মদ। বয়স ৬৮ বছর। এই বয়সেও চৈতুকে রাস্তার পাশে ফুটপাতে ছোটখাটো একটি দোকান চালিয়ে সংসার চালাতে হয়। সেখানে বার্ধক্য ভাতাটা পেলে অসহায় পরিবারটির অনেক সুবিধা হত।
তিনি জানান, বেশকয়েক বছর এই ভাতা পেয়েছেন। কিন্তু প্রায় ১ বছর আগে তিনি দেখেন হঠাৎ করে তার ভাতা আসা বন্ধ। ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না টাকা। এরপরে তিনি অঞ্চল অফিসে যান। ব্যাংকেও যান। সেখান থেকেও কোনরকম সুদুত্তর পাননি। শেষে তিনি দৌড়ান ব্লক প্রশাসনের অফিসে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন আসল কারণ। তাকে জানানো হয় তিনি মৃত বলে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই তিনি অবাক হয়ে যান। আকাশ ভেঙে পড়ে তার মাথায়। জলজ্যান্ত মানুষ, কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন অথচ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আজ তার বাড়িতে যান রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। সমস্ত নথি দেখে পুনরায় বার্ধক্য ভাতা চালু করার আশ্বাস দেন তিনি।
এ বিষয়ে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে আমি জানতে পারি ফুলবাড়ির এক বাসিন্দার বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আগে ভাতা পেতেন কিন্তু তিনি মৃত বলে তার সেই ভাতা বন্ধ হয় যায়। আমি আজ নিজে এসে তার বাড়িতে এসে তাকে দেখলাম তিনি জীবিত অবস্থায় রয়েছেন।তার কাগজগুলো আমি নিয়ে গেলাম। তার ভাতা খুব শীঘ্রই চালু করা হবে। যাদের মাধ্যমে এই ভুলটি হয়েছে সেটি আমি তদন্ত করে দেখবো।