“হ্যাঁ আমি একজন মেয়ে, খাবার ডেলিভারি করি”

শিলিগুড়ি, ১২ জুনঃ পিঠে ব্যাগ।স্কুটির সামনে লাগানো থাকে মোবাইল। সেখানে লোকেশন দেখেই শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটছে পুতুল বর্মন।সদ্য অনলাইন ফুড ডেলিভারির একটি সংস্থায় ঢুকেছে পুতুল।কিন্তু, ‘মেয়ে হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছাচ্ছে’? রাস্তাঘাটে প্রায়শই এমন কথা কানে আসে পুতুলের।কিন্তু ডোন্ট কেয়ার মনোভাব নিয়েই নিজের কাজে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টায় চম্পাসারির পুতুল বর্মন।রোজ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রেস্টুরেন্ট, হোটেল থেকে খাবার নিয়ে যথাসময়ে তা পৌঁছে দিচ্ছে লোকজনের বাড়িতে।আর দরজায় পুতুলকে দেখে অনেকে অবাকও হন, যে একজন মেয়ে খাবার নিয়ে এসেছে।আবার কিছু মানুষ তাঁকে সাহস জুগিয়ে বলছে, এগিয়ে যাও।জীবনে অনেক বড় হও।


আলাপ-আলোচনায় জানা গেল ২০১৩ সালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা নিয়ে এমএ পাশ করেছে পুতুল।এলএলবি নিয়ে পড়াশোনা করছে।কিন্তু হঠাৎ অতিমারির ঢেউ গুলিয়ে দিয়েছে সব।ক্লাস নেই।আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছিল পুতুল।ফলে করোনার সময়  পরিবারের কথা ভেবে সংসার খরচের জন্য অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থায় কাজের জন্য যোগাযোগ করে পুতুল।আর কাজ পেয়ে এখন ছুটছে প্রতিদিন৷অন্তত লোকে যাই বলুক না কেন পুতুল এখন যথেষ্ট খুশি৷পুরোনো সব ধারণাকে বদলে নতুন দিশা দেখাচ্ছে সে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *