শিলিগুড়ি, ১৭ মেঃ দৃষ্টিহীন।কিন্তু ভিক্ষা না করে বিধাননগর থেকে শিলিগুড়ি এসে ধূপকাঠি বিক্রি করছেন বিশ্বদীপ সোরেন।এক হাতে লাঠি এবং আরেক হাতে ধূপকাঠি নিয়ে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ধূপকাঠি বিক্রি করেন যুবক।প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে এভাবেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন দৃষ্টিহীন বিশ্বদীপ।
ছোটবেলা থেকেই চোখে দেখতে পায় না বিশ্বদীপ।কিন্তু জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলার অদম্য ইচ্ছে রয়েছে তার।৮ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বিধাননগরের ব্লাইন্ড স্কুলে চলে আসে সে।সেখানেই দ্বাদশ শ্রেনী অবধি পড়াশোনাও করেছে।বর্তমানে প্রতিদিন বিধাননগর ব্লাইন্ড স্কুল থেকে শিলিগুড়ি শহরে ধূপকাঠি বিক্রি করতে আসে।এভাবেই নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন যুবক।রোজ চার ডজন ধূপকাঠি বিক্রি করে তারপর বিধাননগরে ফিরে যান।তার কথায়, ‘গোটা পথ একাই চলতে হবে।তাই কারও বোঝা হয়ে থাকতে চান না তিনি।
এদিন বিশ্বদীপ জানান, লাঠিই আমার সবকিছু।এর সাহায্যে আমি বিধাননগর থেকে শিলিগুড়িতে ধূপকাঠি বিক্রি করতে আসি।প্রথম প্রথম একটু অসুবিধে হতো।তবে এখন সবটাই শিখে গিয়েছি।আট বছর বয়স থেকেই ব্লাইন্ড স্কুলে থাকি।সেখানে দ্বাদশ শ্রেণী অবধি পড়াশোনাও করেছি।এরপর বাবা-মা বাড়ি ফেরার কথা বলেছে কিন্তু ফিরিনি।
কেউ দৃষ্টিহীনতার সুযোগ নেয়নি? এই প্রশ্নে বিশ্বদীপ জানায়, সবটাই বিশ্বাসের উপর।আমি মানুষকে বিশ্বাস করি।বিশ্বাসের উপরেই জীবন চলছে।