শিলিগুড়ি,১৫ ডিসেম্বরঃ পারিবারিক বিবাদ।যার জেরে মহিলাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল পরিবারের সদস্যরা। শীতের রাতে পথেই রাত কাটালেন বিধবা মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তনগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে পূর্ণিমা রায় গুইনের সঙ্গে আইন অনুযায়ী বিয়ে হয় প্রয়াত শ্যামাপদ গুইনের সঙ্গে।স্বামীর বাড়িতেই ছিলেন তিনি। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিক থাকলেও কয়েক মাস আগে স্বামীর মৃত্যুর পর শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগ, শ্যামাপদ গুইনের প্রথম পক্ষের ছেলে বনদীপ গুইন, তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে ওঠে।
রবিবার অশান্তি চরমে ওঠে।পূর্ণিমা রায় গুইনের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।শীতের রাতে নিরুপায় হয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তিনি।বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয়ের আবেদন করলেও কোথাও ঠাই হয়নি তার।
পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহযোগিতায় আশিঘড় ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রাত কাটান মহিলা।সোমবার সকাল হতেই ফের সুকান্তনগরে স্বামীর বাড়ির সামনে ফিরে আসেন পূর্ণিমা।ধর্নায় বসেন তিনি।
অন্যদিকে প্রয়াত শ্যামাপদ গুইনের প্রথম পক্ষের পুত্র বনদীপ গুইনের পাল্টা অভিযোগ, রবিবার পূর্ণিমা রায় গুইন বাড়িতে অশান্তি করেন এবং তাঁর সন্তানকে মারধর করেন।বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন।এই মহিলার কারণে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় কাউন্সিলর দুলাল দত্ত জানান, এর আগেও একবার বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে তা সফল হয়নি।
গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
