রাজগঞ্জ, ২৪ মেঃ যে পুকুরের নামে এলাকার নাম হয়েছে ফাটাপুকুর, সেই পুকুরের অবস্থা বেহাল।নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের পাশে রাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পুকুর ফাটাপুকুর।
ঐতিহ্যবাহী পুকুরের নামেই এলাকার নাম ফাটাপুকুর।কয়েক বছর আগে পর্যন্ত পুকুরটির সৌন্দর্য মানুষকে আকর্ষণ করতো।শীতের সময় বহু পরিযায়ী পাখিরাও আসতো।এখন আর পরিযায়ী পাখিরা আসে না।গত কয়েক বছর ধরে পুকুরের দেখভাল হচ্ছে না।চারপাশ নোংরা আবর্জনায় ভরে গেছে।কচুরিপানায় সংকুচিত হয়েছে জলাশয়। পুকুরের আশেপাশে প্রচুর দোকান খাবারের হোটেল গড়ে উঠেছে।এলাকায় কোনও ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় দোকান এবং হোটেলের যাবতীয় নোংরা সব পুকুরেই ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পুকুরটি সংস্কারের প্রয়োজন।একাধিকবার প্রশাসনের তরফে পুকুরটি সংস্কার করা হবে বলে জানা গেলেও এখনও কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি বলে অভিযোগ।
গত কয়েক বছর ধরে প্রশাসনিক অবহেলা এবং স্থানীয়দের সচেতনতার অভাবে ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে এই পুকুর।হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পুকুরের গুরুত্ব।ফাটাপুকুরের পাশ দিয়ে গেলে বর্তমানে নোংরা আবর্জনার গন্ধে নাক ঢাকেন মানুষ।
এই বিষয়ে পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাপিয়া সরকার বলেন, পুকুরের বেহাল অবস্থা হয়ে রয়েছে।তবে এত বড় পুকুর আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে সংস্কার করা সম্ভব নয়। শুনেছিলাম যে এসজেডি এর তরফে পুকুরটি সংস্কার করা হবে। তবে আমি আবার আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো যাতে পুকুরটি খুব তারাতাড়ি সংস্কার করা যায়।