শিলিগুড়ি, ৫ ফেব্রুয়ারি: নিজেকে অ্যাসাইলাম(অত্যাচারিত হয়ে আশ্রয় প্রার্থী)প্রমাণ করে কানাডায় নাগরিকত্ব নেওয়ার আগে বাগডোগরা বিমান বন্দর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন(অভিবাসন)বিভাগ।ওই ব্যক্তির দুটি ভিন্ন পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্ট থাকায় আটক করে বাগডোগরা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তুলে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ধৃতের নাম আয়ূব খান(৬৩)।অভিযুক্ত চেন্নাইয়ের বাসিন্দা।ধৃতের হেপাজত থেকে ভোটার আইডি কার্ড, ভুয়ো পাসপোর্ট সহ একাধিক নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত নকল পরিচয় পত্র দিয়ে ওই পাসপোর্ট বানিয়েছিল।সেখানে তার ছবি থাকলেও নাম ও ঠিকানা ভিন্ন রয়েছে।ব্যুরো অব ইমিগ্রেশনের(বিওআই)অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সুশান্ত মল্লিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।অসংগতি মেলায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা আয়ূব খান কানাডায় বিভিন্ন কাজে শ্রমিক সাপ্লাই দিত।অভিযোগ, এই কাজ করতে করতে অভিযুক্ত কানাডায় নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে।সেইমতো নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে কানাডার পাসপোর্ট তৈরি করে।২০০৪ সালে পাসপোর্ট তৈরির পর ১০ বার কানাডায় গিয়েছে ওই ব্যক্তি।এরই মাঝে সে ঠিক করে কানাডায় নাগরিকত্ব নেবে।সেইমতো কানাডায় আবেদনও করে।ভারতে অত্যাচারিত,নিপীড়িত বলে শরনার্থী হয়ে থাকার জন্য কানাডায় আবেদন জানায়।বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গত ৩১ জানুয়ারি বিমানে বাগডোগরায় নামে অভিযুক্ত।ওই সময় বিওআইয়ের কাছে খবর ছিল কেউ বা কারা চোরা পথে সোনা নিয়ে আসছে।সেইমতো বিমানবন্দরে তল্লাশি চলছিল।ওইসময় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।তখনই তার কথায় অসংগতি ধরা পরে।এরপর প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিযুক্তকে।সমস্ত তথ্য প্রমান পাওয়ার পরেই বিওআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে বাগডোগরা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিওআইয়ের অ্যসিস্টান্ট ডিরেক্টরের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ১ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে পাঠিয়ে অভিযুক্তকে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে। ইতিমধ্যে বিওআই এবং পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের পাসপোর্ট বাতিলের আবেদন জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।