শিলিগুড়ি,১৪ নভেম্বরঃ শিলিগুড়ি শহরজুড়ে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের আড়ালে কালো ব্যবসার কারবার।এইসব ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে শিলিগুড়িতে মেট্রোপলিটন পুলিশের।তেলেঙ্গানা পুলিশের অভিযানের পর থেকেই আরও বেশি সক্রিয় হয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ।এছাড়াও সম্প্রতি ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও উঠে আসছে।
বুধবার বিকেলে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নেমে গুরুং বস্তিতে একটি বাড়ি থেকে দুই যুবককে আটক করেছিল প্রধাননগর থানার পুলিশ।সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব চলছিল বলে জানতে পেরেছিল পুলিশ।এদিকে ওই দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের দরুন বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে।এরপরই ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতদের নাম রাহুল বৈঠা ও চঞ্চল দাস।শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তুলে চারদিনের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়।
ধৃত দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের দরুন পুলিশ জানতে পেরেছে ওই বাড়ির মালিক উত্তর দিনাজপুর জেলার কানকির বাসিন্দা ধ্রুব প্রসাদ।বর্তমানে বাড়িটির দেখাশোনা করত টিউমলপাড়ার বাসিন্দা অজয় সোনি।গত জুন মাসে রবিন মল্লিক নামে এক ব্যক্তি এই বাড়িটি ভাড়া নেন।এরপর থেকেই এখানে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব চলছিল।বিষয়টি বাড়ির মালিক জানতেন না।যদিও এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বাড়িটির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা অজয় সোনি।অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই রবিন মল্লিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাসারির ৭ নম্বর রোডের বাসিন্দা অরবিন্দ জেসওয়াল তার ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কয়েকজন ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব চালাচ্ছেন বলে প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।অরবিন্দ বাবু জানান,বিহারের বাসিন্দা এক দম্পতি তার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন।ফ্ল্যাটে ব্যবসা করার নামে একটি অ্যাগ্রিমেন্টও করেছিলেন তারা।গত জুলাই মাসে ওই দম্পতি তৃতীয় এক ব্যক্তির সাথে মিলে জব এজেন্সি খোলার নামে অ্যাগ্রিমেন্ট করেন।কিন্তু গত দুমাস ধরে ওই দম্পতি এবং ওই তৃতীয় ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ১০টি কম্পিউটার ও প্রায় ৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।ওই দম্পতি ও ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।