শিলিগুড়ি, ২৮ জুনঃ সিম বক্স কান্ডে চতুর্থ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট(ডিডি)।ধৃতের নাম আব্দুল কাদির(৩৯)।জলপাইগুড়ির বাসিন্দা।এই মামলার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগসূত্র রয়েছে বলে ডিডির তদন্তে উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে ফুলবাড়ি সংলগ্ন জটিয়াকালি এলাকায় এক দোকানে অভিযান চালায় স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ(SOG), ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট (DD) ও নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।জটিয়াকালী মোড়ে সাব্বির আলির দোকানে তল্লাশি চালিয়ে সিম বক্সের ঘটনা সামনে আসে।ওই দোকান থেকে উদ্ধার হয় তিনটি সিমবক্স, বেশকিছু সিম, রাউটার, কম্পিউটার সহ বেশকিছু নথি।সিম বক্স ব্যবহার বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ চালানো হচ্ছিল।এই ঘটনায় দোকানদার সাব্বির আলীকে গ্রেফতার করে এনজেপি থানার পুলিশ।এরপর তাকে আদালতে পেশ করে পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া হয়।পুলিশের জেরায় দুই সিম সরবরাহকারির নাম সামনে আসে।এরপরই ফুলবাড়ির রাজু রায়(২৭) ও শিলিগুড়ির দয়াল বর্মনকে(৪৬) গ্রেফতার করে ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট।এই দুজনকে আদালতে পেশ করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এরপরই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ডিডি জানতে পারে এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগসূত্র রয়েছে।তদন্তে নেমে ডিডি আরও জানতে পারে যে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা আব্দুল কাদির বাংলাদেশ থেকে সিমবক্স নিয়ে এসে সাব্বীর আলির দোকানে লাগিয়েছিল।এরপরই আব্দুল কাদিরের খোঁজ শুরু করে ডিডি।বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় আব্দুল কাদিরকে।আজ ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে।গোটা ঘটনার তদন্তে ডিডি।