রাজগঞ্জ, ১৭ জুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প গজলডোবার ভোরের আলো।সেই ভোরের আলোকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চালু করা হল একাধিক নতুন পরিষেবা।পর্যটকদের সুবিধার্থে চালু করা হল ই-রিকশা, সাইকেল ভ্রমণ এবং টেন্ট(তাবুর)এর ব্যবস্থা।শুক্রবার গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তথা জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের হাত ধরে এই পরিষেবাগুলি উদ্বোধন করা হল।এদিন ১ টি ই-রিকশা, ৬টি সাইকেল ও টেন্ট (তাবু) ব্যবস্থা পর্যটকদের জন্য শুরু করা হল।এবার থেকে ই-রিকশায় গজলডোবার পাখি বিতান থেকে শুরু করে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের মন্দির সহ জঙ্গলের একাধিক জায়গা ভ্রমন করতে পারবেন পর্যটকেরা।
এই বিষয়ে গাজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান তথা জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তৈরির পরে অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছে।গজলডোবার পাশে যে পাখি বিতান রয়েছে সেটি দেশের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান।কিভাবে এই পাখিবিতানকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায় সেই কাজ চলছে।গজলডোবাকে নিয়ে অনেক কিছু করা হয়েছে।আরও বহু পরিকল্পনা ধাপে ধাপে রূপায়িত করা হবে। আজ এই পরিকল্পনাগুলি চালু করা হল।পর্যটকেরা সব রকম পরিষেবার সুবিধা পেতে অনলাইনে বুকিং করতে পারবেন।
অন্যদিকে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো।এখানে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা রয়েছে। কটেজ থেকে শুরু করে নৌকাবিহার নানা ব্যবস্থা আছে। আজ নতুন কিছু ব্যবস্থা চালু করা হল যেখানে ই-রিকশা করে গজলডোবার পাখি বিতান থেকে শুরু দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের মন্দির সহ জঙ্গলের একাংশ জায়গা ভ্রমন করতে পারবেন।
এদিন উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্নিমা রায়, রাজগঞ্জের বিডিও পঙ্কজ কোনার সহ অনেকে।