গজলডোবা, ২৫ মেঃ হাতির হানায় প্রাণহানি, গজলডোবার হাওয়া মহলে নিরাপত্তা নিয়ে করা হল প্রশাসনিক বৈঠক।
গজলডোবা টাকিমারি এলাকায় একের পর এক হাতির হানায় প্রাণহানির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গজলডোবায়।এই পরিস্থিতিতে রবিবার হাওয়ামহলে অনুষ্ঠিত হয় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বন সংরক্ষক ও বন বিভাগের প্রধান (বন্যপ্রানী) সন্দীপ সুন্দ্রীয়াল (পিসিসিএফ), রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের ডিএফও এম রাজা, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপালী দে সরকার, বনদপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং টাকিমারি ও মিলনপল্লি-সহ আশপাশের এলাকার গ্রামবাসীরা।
পিসিসিএফ(বন্যপ্রানী) সন্দীপ সুন্দ্রীয়াল বলেন, এখনও পর্যন্ত হাতির হামলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।আমরা চাই ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে।সেই লক্ষ্যেই বনদপ্তর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।বনের মধ্যে হাতিদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে সোলার লাইট বসানো এবং শক্তপোক্ত ফেন্সিং তৈরি সহ একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, পিসিসিএফ-এর সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গ্রামের মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।আশা করছি এই উদ্যোগের ফলে হাতির হানা অনেকটাই রুখে দেওয়া যাবে।