রাজগঞ্জ, ৫ জানুয়ারিঃ গজলডোবায় ব্যবসায়ী ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা।সোমবার সন্ধ্যায় গজলডোবায় ব্যবসায়ী ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে একদল যুবকের বিরুদ্ধে।পাশাপাশি অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালায় ওই যুবকেরা। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।মঙ্গলবার দোষীদের গ্রেফতার ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে আমবাড়ি-গজলডোবা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।যদিও প্রায় দুঘন্টা অবরোধের পর পুলিশের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, এদিন প্রথমে ৫-৬ জন যুবক গজলডোবায় ঘুরতে এসে একটি দোকানে চা ও খাবার খেয়ে দোকানদারের সঙ্গে বচসা শুরু করে।সেখানে থাকা পুলিশ কর্মীরা বিষয়টি দেখে গন্ডগোল থামানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেও বচসা শুরু করে যুবকরা।পুলিশকে মারধরও করে বলে অভিযোগ।এরপর ওই যুবকদের মধ্যে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রায় আধ ঘণ্টা পরে চার গাড়ি লোক এসে তির-ধনুক ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লুঠপাট চালিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায় ও ব্যবসায়ীদের মারধর করে।অভিযোগ, হামলা চালানোর সময় তারা তৃণমূলের এসসি, এসটি, ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি কৃষ্ণ দাসের অনুগামী বলে হুমকি দেয়।হামলাকারীরা ২ রাউন্ড গুলিও চালায় বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।প্রাণ বাঁচাতে ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
এদিন পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে আসেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়।সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি দীপেন প্রামাণিক ও স্থানীয় নেতৃত্বরা।
সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায় বলেন, ‘কয়েক গাড়ি লোক এসে তাণ্ডব চালিয়ে গেল।অথচ পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারল না।তাই পুলিশ ও প্রশাসন বলে কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের অনুগামীরা ওই তাণ্ডব চালিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। আমি পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই গাড়ি সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করলে দলীয়ভাবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে’।