শিলিগুড়ি, ১৭ জানুয়ারি: শিলিগুড়িতে নিখোঁজ সেনা জওয়ানের দাদার ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ করা হল। বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জওয়ানের দাদা মহেশ্বর রেড্ডির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নিজবাড়ি এলাকায় উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের সঙ্গে ওই ডিএনএ নমুনা মেলানো হবে।
যদিও ডিএনএ টেস্টের জন্যে আটকে নেই পুলিশ। এখনও শহর এবং মহকুমা এলাকায় ওই জওয়ান বীরব্রক্ষ্মানন্দ রেড্ডির খোঁজ করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের একাংশের ধারনা এখনও বেঁচেই আছেন ওই জওয়ান। তাই ফাঁসিদেওয়া সহ আশেপাশের এলাকার হোটেলগুলিতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরের বক্তব্য,’ জওয়ানের খোঁজে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
গত ১০ তারিখ শেষ কথা হয়েছিল পরিবারের সঙ্গে। এরপর থেকে নিখোঁজ অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর জওয়ান বীরব্রক্ষ্মানন্দ রেড্ডি। তাঁর ফোনের লোকেশন এনজেপি থেকে ফাঁসিদেওয়ার দিকে মিলেছিল। কাকতালীয় ভাবে ১১তারিখ সকালেই ফাঁসিদেওয়ার নিজবাড়ি এলাকায় একটি ট্রেনে কাটা দলা পাকানো দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই দেহ থেকে ২০০মিটার দূরে সেনা জওয়ানের একটি ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছিল। তাই তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছিল, ওই দেহ জওয়ানের। যদিও জওয়ানের দাদা দেহ দেখে জানিয়ে দেন মৃত ব্যক্তি তাঁর ভাই না। তাই তদন্তকারীরা ডিএনএ টেস্টের পাশাপাশি জওয়ানের খোঁজ জারি রেখেছে। জওয়ানের একটি ব্যাগ পাওয়া গেলেও দুটি ব্যাগের খোঁজ নেই। ফোন নিজবাড়ি থেকে ২০০মিটার দূরে মিললেও বন্ধ হওয়ার আগে শেষ লোকেশন ছিল ফাঁসিদেওয়ার অন্য এলাকায়। তাই তদন্তকারীদের একাংশের ধারনা ওই দেহ জওয়ানের না। তাই সত্য উদঘাটনে দিনরাত এক করছে পুলিশ।