শিলিগুড়ি, ৫ ফেব্রুয়ারি: নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে যৌণ হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ৩ তারিখের ঘটনা হলেও সোমবার রাতে বিষয়টি সামনে এসেছে। নাবালিকার পরিবার সোমবার রাতে এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। তবে এই বিষয়ে শিলিগুড়ির কোন পুলিশ কর্তা এখনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।নাবালিকার পরিবার ওই স্কুল শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রী এম ডি আলম নামে ওই স্কুল শিক্ষকের কাছে বাড়িতে টিউশন পড়তে যেত। অভিযোগ, গত ৩ তারিখ সকালে ওই ছাত্রী পড়তে না যাওয়ায় প্রথমে তাঁকে ফোন করে শিক্ষক। কিন্তু ছাত্রী ফোন না ধরায় তাঁর মা কে ফোন করে শিক্ষক। তিনিও ফোন না ধরায় নাবালিকার জেঠিমাকে ফোন করে শিক্ষক। জেঠিমার মাধ্যমে ছাত্রীকে ফোন করিয়ে ওই দিনই দুপুর ৩.৩০ মিনিট নাগাদ পড়তে ডাকা হয়। দুপুরে ছাত্রী পড়তে গেলে ওই শিক্ষক তাকে পড়ার ঘরে না নিয়ে গিয়ে প্রথমে দোতলার ঘরে নিয়ে যায়। ছাত্রীর বয়ান অনুযায়ী,ওই শিক্ষক ছাত্রীকে বলে তার শারীরিক গঠন ভালো এবং পুলিশে চাকরি পাবে। এই বলে ছাত্রীর শরীরে হাত দিতে থাকে। ছাত্রী বাধা দিলে তাকে চোখ বন্ধ করতে বলে।ছাত্রী চোখ বন্ধ করতেই ফের তার শরীরে হাত দিতে থাকে অভিযুক্ত। ছাত্রী চোখ খুলতেই দেখে শিক্ষক উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভয়ে কোনক্রমে শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ছাত্রী। ৩ তারিখ ভয়ে আর কাওকে কিছু জানায়নি সে। কিন্তু ৪ তারিখ সকালে নিজের দিদি কে সবটা জানায়। এরপরেই নাবালিকার দিদি বাবা-মাকে পুরো বিষয়টি জানায়। সবটা জানার পরেই তাঁরা শিক্ষকের বাড়িতে যায়। অভিযোগ, বাড়িতে গেলে শিক্ষক নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং হুমকি দেয়। এরপর শিক্ষক অসুস্থতার ভান করে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়ে যায়।
সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ছাত্রীর পরিবার ওই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে স্কুল ছাত্রী নিজে হাতে অভিযোগ পত্র লিখে থানায় জমা করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
Which school