শিলিগুড়ি, ১৫ জানুয়ারিঃ মানুষের অসহযোগীতার কারণে হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলছে।এভাবে চলতে থাকতে হাতির সংখ্যা কমে যাবে।যার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও নষ্ট হবে।তাই হাতি মৃত্যু রুখতে ও হাতি সংরক্ষণে বড় আন্দোলনে নামতে চলেছে পশুপ্রেমী সংগঠন সলিটারী ন্যাচার অ্যান্ড অ্যানিম্যাল প্রটেকশন ফাউন্ডেশন (SNAP)। তাদের এই আন্দোলনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভয়েজ ফর এশিয়ান এলিফ্যান্ট সোসাইটি।
রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের হল ঘরে হাতি সংরক্ষণ নিয়ে একটি আলোচনা সভা করা হয়।এদিনের সভায় হাতি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সকলের সামনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেন ভয়েজ ফর এশিয়ান এলিফ্যান্ট সোসাইটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সঙ্গীতা আইয়ার।আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ রিসার্চার অরিত্র খেত্রী, SNAP ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৌস্তব চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আগত সঙ্গীতা আইয়ার বলেন, বিশেষত ভারতবর্ষে দেখা যায় রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটাই বেশি।যার ফলে মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার কিন্তু তারা হাতি বা পশু পাখিদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করছে না।কিন্তু হাতি না থাকলে ভবিষ্যতে মানুষেরও বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে সেইদিকে কারোর নজর নেই।ফলে রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকারকে সঙ্গে নিয়ে হাতি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা আমরা করছি।মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করার পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচি গ্রহন করছি আমরা।
অন্যদিকে সলিটারী ন্যাচার অ্যান্ড অ্যানিম্যাল প্রটেকশন ফাউন্ডেশন এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৌস্তব চৌধুরী বলেন, অনেক সময় দেখা যায় সাধারণ মানুষকে বারংবার সচেতন করা হলেও হাতির উপর আক্রমণ চলছে।অন্যদিকে বনদপ্তর হাতি সংরক্ষণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করলেও সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তির অভাবে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করতে পারছে না।এই নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন মহলে আবেদন করা হয়েছে।কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম কোন ফল মেলেনি।ফলে আগামীদিনে আমরা এই নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছি।দ্রুত তার রূপরেখা তৈরি করা হবে।