প্রেমের সম্পর্কের জের,সুপারি কিলার দিয়ে খুন পুষ্পা ছেত্রীকে

শিলিগুড়ি,১৬ নভেম্বরঃ শিলিগুড়িতে পুষ্পা ছেত্রী নামে এক তরুনীকে খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নামতেই অবাক হয়ে গেলেন তদন্তকারীরা। এক সময় যে ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সেই ব্যক্তিই কিনা সুপারি কিলার দিয়ে খুন করালেন তরুণীকে। যারা খুন করল তারাও তরুণীর এলাকারই বাসিন্দা ও আগে থেকেই পরিচয় ছিল। সেই সুবাদেই তরুণীর ঘরে ঢুকে গলায় ধারালো কিছু দিয়ে হামলা করে খুন করা হল পুষ্পা ছেত্রীকে।


৮ নভেম্বর দুপুরে শিলিগুড়ির ভানুনগরে পুষ্পা ছেত্রী নামে ২৬ বছর বয়সের এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। মালবাজারের বাসিন্দা পুষ্পা শিলিগুড়িতে বিউটি পার্লারে কাজ করতো। খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার পুলিশ। দুইজনকে শিলিগুড়ি ও একজনকে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পাঞ্জাবে আধা সামরিক বাহিনীতে কর্মরত অরুণ পর্টেল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পুষ্পা ছেত্রীর সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল অরুণ। অরুণের স্ত্রী প্রীতিকা পর্টেল সম্পর্কের ব্যাপারে জানতো। এরপরই স্বামী স্ত্রী মিলে পুষ্পাকে খুনের সুপারি দেয় দুই যুবককে। পুষ্পা মালবাজারের বাগরাকোটের বাসিন্দা ছিল। সেই বাগরাকোটের বাসিন্দা অভিষেক দর্জি ও রুস্তম বিশ্বকর্মা নামে দুইজনকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর আগে অগ্রিম তাঁদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ৭ নভেম্বর রাতে শিলিগুড়িতে পুষ্পার ভাড়া বাড়িতে আসে তাঁরা। রাত ১০ টা নাগাদ তাঁরা আসে। প্রায় ৪৫ মিনিট সেখানে ছিল। পুলিশের অনুমান, সেই সময়ে পুষ্পার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে খুন করা হয়। এর পরের দিন অভিষেক ট্রেন ধরে চেন্নাই চলে যায়। সেখানে একটি হোটেলে সে কাজ করে। খুনের পর সেখানে গিয়ে কাজ করছিল। রুস্তম বিশ্বকর্মা বাগরাকোটে চলে যায়। এদিকে শিলিগুড়িতেই ছিল অরুণ পর্টেলের স্ত্রী। শুক্রবার চেন্নাই থেকে অভিষেককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আজ সকালে প্রীতিকা ও রুস্তমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার পুরো ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডিসিপি ইস্ট রাকেশ সিং।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *