শিলিগুড়ি, ১৮ জানুয়ারি : সেনা জওয়ান নিখোঁজ কাণ্ডের তদন্তে নেমে কালঘাম ছুটছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের। খোদ শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর ঘটনার খোঁজখবর করছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার ফের ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর করেছে শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ(এসওজি) এবং এনজেপি থানার পুলিশ। ডিএনএ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু হলেও ২৫বছর বয়সী সেনা জওয়ানের খোঁজ জারি রেখেছে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার সি সুধারকর এদিন জানিয়েছেন,সব সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ১১ তারিখ ফাঁসিদেওয়ার নিজবাড়িতে রেললাইনের পাশ থেকে যে দেহ উদ্ধার করেছে জিআরপি, সেই দেহের পেটে অস্ত্রোপচারের সেলাইয়ের দাগ রয়েছে। কিন্তু জওয়ান বীরব্রক্ষ্মানন্দ রেড্ডির পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে তাঁর পেটে কোন অস্ত্রোপচারও হয়নি। এরপর থেকেই ধন্দে পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। যদি সত্যিই জওয়ানের কোন অস্ত্রোপচার না হয়ে থাকে তবে লাইনে মেলা দেহটি কার তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কারন ওই দেহ থেকে ২০০ মিটারের মধ্যেই জওয়ানের কাধের ব্যাগ এবং দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল লাইনের ধারে পরে। ফোনটি ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। আর ব্যাগের ভেতরে একটি ছোট কিপ্যাড ফোন ছিল। ওই ফোনটি বন্ধ অবস্থায় ছিল। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি চালুই ছিল। এই ধরনের একাধিক তথ্য উঠে আসায় ধন্দে রয়েছেন শিলিগুড়ি পুলিশের দুঁদে পুলিশ কর্মীরা। অন্যদিকে, ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে জওয়ানের ভাই শিলিগুড়িতে এলেও তাঁর রক্তের নমুনা দিয়ে হবে না। তাই জওয়ানের বাবা কিংবা মাকে শিলিগুড়িতে ডাকা হয়েছে। তাঁরা শিলিগুড়ি আসলেই জিআরপি নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাবে বলে জানা গিয়েছে।