রাজগঞ্জ, ২৭ এপ্রিলঃ রাজগঞ্জের জটিয়াকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমা জল নিকাশির জন্য ময়দানে নামল প্রশাসন।কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ি টাইমসে এই খবর সম্প্রচারিত হয়।এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।বুধবার সরেজমিনে স্কুল পরিদর্শন করলেন জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিক, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায় ও সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অলকেশ পন্ডিত।
রাজগঞ্জের ফুলবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জটিয়াকালীতে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের পাশে জটিয়াকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়।অল্প বৃষ্টিতেই স্কুলে হাঁটু সমান জল জমে যায়।বছরের অধিকাংশ সময় জলে ডুবে থাকে স্কুলের মাঠ।জুতো হাতে নিয়ে এক হাঁটু জল পেরিয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে হয় পড়ুয়া ও শিক্ষকদের।প্রায় চার বছর থেকে এই সমস্যার মধ্যে চলছে স্কুলটি।
এই বিষয়ে লৈক্ষ্যমোহন রায় বলেন, জল জমে স্কুলটিতে অকাল বর্ষার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।একটি চলমান স্কুল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।জল জমার ঘটনায় এক্সিকিউশন ডিপার্টমেন্ট, সেচ দপ্তর ও পূর্ত দপ্তর জড়িত।তাই দপ্তরগুলির সঙ্গে যৌথভাবে আলোচনা করে স্থায়ী সমাধান করা হবে।তবে আপাতত স্কুলের উত্তরাংশের রাস্তায় হিউম পাইপ বসিয়ে ও জাতীয় সড়কের কালভার্ট দিয়ে জল নিকাশি করা হবে।
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিক বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ওই স্কুলের সমস্যার কথা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শন করে বোঝা গেল পড়ুয়া ও শিক্ষকদের এক হাঁটু জল দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে।তাই আপাতত আর্থ মুভার দিয়ে মাটি কেটে নালা তৈরি করে ও রাস্তায় হিউম পাইপ বসিয়ে জমা জল বের করার কাজ চলছে।