শিলিগুড়ি,১৩ আগস্টঃ প্রথমে বন্ধুত্ব, এরপর ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগ। মুক্তিপণ নিতে এসে ধরা পড়ে গেল অপহরণকারীরা। নেপালের ঝাপা জেলার বাসিন্দা লক্ষ্মী গুরুং দীর্ঘদিন ধরে কর্মসূত্রে সৌদি আরবে ছিলেন। সেখান থেকেই কিছুদিন আগে নেপালে তার নিজের বাড়িতে ফেরেন। অসমের বাসিন্দা পবন রাই নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এরপরই দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়।
এরপরই কার্শিয়াং শিমুলবাড়ির দুই যুবক সুরজ সেবা, দীনেশ সেবা,মিরিকের রেওয়াস প্রধান ও অসমের আরোও দুই যুবক মনোজ ঠাকুর, ক্রিষ্টোফার হেমব্রমকে সঙ্গে নিয়ে পবন রাই নামে ওই ব্যাক্তি লক্ষ্মী গুরুংকে অপহরনের ছক কষে।৮ অগস্ট ব্যক্তিকে শিলিগুড়িতে ঘুরতে আসার জন্য বলা হয়।এরপর শিলিগুড়ি এলে তাঁকে অপহরণ করে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।ব্যক্তি পরিবারকে টাকার কথা জানান।
রবিবার রাতে ফুলবাড়িতে টাকা নিয়ে আসার কথা বলে অপহরণকারীরা।এদিকে অপহৃত ব্যক্তির পরিবার এনজেপি থানাতে বিষয়টি জানান। রবিবার রাতে ফুলবাড়িতে একটি হোটেলে অপেক্ষা করছিল পুলিশ। অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে ছয়জনকে ধরে এনজেপি থানার পুলিশ।ধৃতদের সোমবার আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।