গজলডোবা, ৪ ডিসেম্বরঃ গজলডোবার ভোরের আলোতে নতুন সেতু তৈরীর জন্য জমি দিয়েও ক্ষতিপূরণ পাননি জমিদাতারা।সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি পরিবার।
রাজগঞ্জের গজলডোবায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের পর্যটন কেন্দ্র ‘ভোরের আলো’ তে ঝুলন্ত সেতু তৈরি করা হচ্ছে। সেতু তৈরীর কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। ‘ভোরের আলোর’ পাশ দিয়ে বয়ে চলা তিস্তার সেচ ক্যানেলের উপরে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেতু তৈরিতে ভোরের আলোর সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধা হবে। এই সেতু তৈরি করতে ১৪ টি পরিবারের জমি নেওয়া হয়।
পলাশ সন্ন্যাসী, নির্মল সমাদ্দার, রবিশংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাঁচ বছর আগে ব্রিজ তৈরি করার জন্য বসত জমি নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে চুক্তি পর্যটন দপ্তর করেছিল সেই অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। পরিবারগুলিকে পাট্টা সহ সমপরিমাণ জমি,একটি মন্দির এবং ঘর করার জন্য প্রত্যেককে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে চুক্তি হয়েছিল। ঘর করার জন্য শুধু জমি দিয়েছে, কিন্তু টাকা দেয়নি। উপযুক্তদের চাকরি এবং অনুপযুক্তদের দোকান ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটাও দেয়নি। প্রতিশ্রুতিমতো ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হলেও সুরাহা হয়নি। এদিকে ব্রিজ তৈরি হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেতুটির উদ্বোধন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাই তারা এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এই বিষয়ে পর্যটন দপ্তরের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর জ্যোতি ঘোষ ফোনে বলেন, ওই পরিবারগুলিকে জমি দেওয়া হয়েছে, পরিকাঠামোও করে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কিছু দাবি-দাওয়া রয়েছে, সে বিষয়ে সরকার নিশ্চয়ই ভাববে।