শিলিগুড়ি, ৩ মেঃ করোনার জেরে লকডাউন। বন্ধ কাজকর্ম। খাবার জোগাড় করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বহু মানুষকে। এই অবস্থায় গ্রামবাসীদের কথা ভেবে খাবার রান্না করে তা বিতরণের উদ্যোগ নেন সেনা জওয়ান। কিন্তু সেই আয়োজনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো পঞ্চায়েত সদস্য ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। হাতিয়াডাঙা সংলগ্ন রাজগঞ্জ বিন্নাগুড়ি পঞ্চায়েতের জলডুমুর গ্রামের ঘটনা। সিআরপিএফ জওয়ান অখিলেশ ঝাঁ কর্মসূত্রে মধ্যপ্রদেশে রয়েছেন। সেখান থেকেই গ্রামে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন লকডাউনে অনেকেই খাবার পাচ্ছেন না। এরপর স্থানীয় কিছু যুবকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। পুলিশের থেকে অনুমতি নিয়ে রবিবার ৫০০ মানুষের রান্না করে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
সেইমতো এদিন সকাল থেকেই অখিলেশ বাবুর জমিতে আয়োজন চলছিল। স্থানীয় যুবকেরা সবজি কাটছিলেন৷ মিঠুন রায় নামে স্থানীয় যুবকের অভিযোগ, সকালে পঞ্চায়েত সদস্য মামনি রায়ের স্বামী শাকালু রায় আসেন৷ জানান অন্যত্র ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে রান্না করা যাবেনা ও খাবার দেওয়া যাবেনা। এরপরই রাস্তার দুদিকে দাগ কেটে জানিয়ে দেন এই দাগের ভেতর প্রবেশ নিষিদ্ধ। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছায় আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ দাড়িয়ে থেকে শেষপর্যন্ত রান্না শুরু করায়।
এদিকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মামনি রায়ের স্বামী শাকালু রায়ের বক্তব্য, সেখানে মন্দির রয়েছে। তাছাড়া ভিড় হবে বলে অন্যত্র যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমাকে যদি সেনা জওয়ান আগে ফোনে জানাতেন আয়োজনের কথা তবে সহযোগীতা করতাম।