জলপাইগুড়ি,৩ ফেব্রুয়ারিঃ জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনের কোভিড হাসপাতালে রোগী সংখ্যা কমতেই কাজ হারানোর ভয়ে রয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। প্রায় ৬০ জন অস্থায়ী কর্মী একবছর ধরে কাজ করছেন এই হাসপাতালে। এদিকে কর্মীদের ফান্ড না আসায় তাঁদের কাজে যোগ দিতে না করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অস্থায়ী কর্মীদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। নতুন করে ফান্ড না আসায় আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
গতবছরের শুরুতেই জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনের একাংশ এলাকাকে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তিতে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতিতের মধ্যে অনেকেই পরিবার ছেড়ে কোভিড হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক অস্থায়ী কর্মী বলেন,” আমি এক দোকানের কাজ ছেড়ে কোভিড হাসপাতালে কাজ শুরু করি। সেই সময় আমাকে বলা হয়েছিল কাজ করলে আগামীতে চাকরি পাওয়া যাবে। এই কারণে পরিবারকে ফেলে রেখেই কাজ করছিলাম। কাজ চলে গেলে এখন আর দোকানে কাজ দেবে না।সমস্যায় পড়ে যাব।”
এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নষ্কর বলেন,” প্রত্যেক মাসে প্রায় দশ লক্ষ টাকা কোভিড হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে হয়। নতুন করে ফাণ্ড না আসায় আপাতত অস্থায়ী কর্মীদের কাজে আসতে না বলা হয়েছে।”