শিলিগুড়ি,২৫ এপ্রিলঃ বাবা হাটা চলার ক্ষমতা হারিয়েছে।বাবাকে নিয়ে মেয়ে শহরের ইতিউতি ঘুরে বেরাতো।যা খাবার মিলতো তা দিয়েই ভরতো পেট।কোনওদিন আবার আধপেটা খেয়েই দিন কাটাতে হতো।এরই মধ্যে লকডাউন চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল।
ফাড়াবাড়ির আদর্শপল্লী হাটের বাসিন্দা রবি দাস।প্রতিবন্ধী হলেও নেই সেই সার্টিফিকেট।তাই সরকারি সাহায্যও পান না।অভাব আর অনটনের মধ্যে দিয়েই কাটছে প্রতিটি দিন।তার সম্বল ছোট মেয়ে প্রীতি।তাকে সঙ্গে নিয়েই ট্রাইসাইকেলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে খাবার জোগাড় করতেন।কিন্তু হঠাৎ লকডাউনে প্রথম অবস্থায় কী করবেন, কীভাবে খাবার জোগাড় করবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না৷তবে লকডাউনে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।তাদের দেওয়া খাবারেই এখন পেট ভরছে সকলের।তবে প্রয়োজন কিছু ওষুধের।সেই ওষুধের জন্যই এখন সাহায্যের আশায় বসে রয়েছেন রবি বাবু ও তার মেয়ে।