রাজগঞ্জ, ৩ জুনঃ অভাবের সঙ্গে লড়াই করে নজরকাড়া ফল রাজগঞ্জের ফুলবাড়ি হাই স্কুলের ছাত্রী কল্পনা রায়ের।তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯৯।স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সে।ইচ্ছে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার।এছাড়াও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সমাজের জন্য কিছু করার স্বপ্ন রয়েছে কল্পনার।কিন্তু অর্থের অভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কল্পনা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সেল্টারবাড়ি গ্রামের গোপাল রায়ের মেয়ে কল্পনা।গোপাল বাবুর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার।গরমের সময় আইসক্রিম ও শীতের সময় চাট বিক্রি করে তার সংসার।গ্রামে গ্রামে ঘুরে যেটুকু উপার্জন হয় তা দিয়েই কোনোরকমে চলে সংসার।বড় মেয়ে কল্পনা রায় এবারে মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করেছে।এই খবর যখন পৌঁছায় সেসময় গোপালবাবু পাশের গ্রামের লোকনাথ মন্দিরে আইসক্রিম বিক্রি করছিলেন।
কল্পনা জানায়, বাবা সংসার চালানোর জন্য কখনও আইসক্রিম, কখনও চাট-ঘুগনি এবং কখনও প্যাটিস বিক্রি করে।পরীক্ষার যে রেজাল্ট হয়েছে তাতে খুব খুশি।বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছা।ভবিষ্যতে পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু করারও ইচ্ছা রয়েছে।কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে কি না জানিনা।
কল্পনার মা আলো রায় বলেন, মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে বলে কয়েকজন গৃহশিক্ষক নিতে চায়।কিন্তু অর্থের অভাবে এখনও গৃহশিক্ষক নিতে পারিনি।সরকারের তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে মেয়ের স্বপ্ন হয়তো পূরণ হবে।কল্পনার ভাল রেজাল্টের জন্য খুশি প্রতিবেশী ও স্কুলের শিক্ষকরা।
গোপাল বাবু বলেন, সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছি।পরে মেয়ে ফোন করে তার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের কথা জানায়।শুনে খুব খুশি হয়েছি ঠিকই, কিন্তু মেয়েকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াতে সাহস পাচ্ছিনা।তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছি।