শিলিগুড়ি,৯ জুলাইঃ মায়ের কাছে বকুনি খেয়ে অভিমানে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল নাবালক। শেষমেষ নিখোঁজ নাবালক উদ্ধার হল কাশ্মীর থেকে।শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার পুলিশের একটি বিশেষ টিম জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা থেকে ১৪ বছর বয়সী এই নাবালককে উদ্ধার করেছে।ইতিমধ্যেই নাবালককে নিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩১ মে থেকে প্রধাননগর থানা অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা এই ১৪ বছরের নাবালক নিখোঁজ ছিল।এরপর গত ৮ জুন এই বিষয়ে প্রধাননগর থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার।এরই মধ্যে নাবালকের মা পুলিশকে জানান যে জম্মু কাশ্মীরের বারামুলা থেকে ওই নাবালক ফোন করেছিল এবং সে ওখানে রয়েছে বলে জানিয়েছে।এরপরই প্রধাননগর থানার আইসি শুভাশিস চাকির নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।টিমটি ২১ জুন শিলিগুড়ি থেকে জম্মু কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।সেখানে শ্রীনগরের নৌগান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বারামুলা পৌছায় প্রধাননগর থানার পুলিশের বিশেষ টিম।স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় একটি বরফ কারখানা থেকে নাবালককে উদ্ধার করা হয়।এরপর গত ৫ জুলাই নাবালককে নিয়ে শিলিগুড়ি ফিরে আসে প্রধাননগর থানার পুলিশের বিশেষ টিমটি।
এদিকে গত ৭ জুলাই নাবালককে দার্জিলিঙের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিতে পেশ করা হয়।কমিটি থেকে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে নাবালক জানায়, মায়ের কাছে বকুনি খেয়ে অভিমানে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল সে।বাড়ি থেকে বের হয়ে অসমের রঙ্গিয়ায় বাবার কাছে যাওয়ার জন্য এনজেপি স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে সে।রঙ্গিয়ায় এক অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে তার দেখা হয়।সেই ব্যক্তি কাজ দেওয়ার নাম করে তাকে শ্রীনগরের গুলশন নগরে নিয়ে যায়।সেখানে কিছুদিন এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীর বাড়িতেও ছিল।এর কিছুদিন পর স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে জম্মু কাশ্মীরের বারামুলায় কাজ করতে চলে যায় সে।
এই বিষয়ে এসিপি ওয়েস্ট চন্দন দাস বলেন, গত মে মাস থেকে ওই নাবালক নিখোঁজ ছিল।নাবালকের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত নাবালককে জম্মু কাশ্মীর থেকে উদ্ধার করা হয়।