কোচবিহার, ৫ আগস্টঃ ৫০০ বছর পর এখনও অটুট পরম্পরা।রাজ আমলের পরম্পরা মেনে ময়নাকাঠের পুজোর মধ্য দিয়ে বড়দেবীর পুজো শুরু হল কোচবিহারে।শুক্রবার কোচবিহারের গুঞ্জা বাড়িতে অবস্থিত ডাঙরাই মন্দিরে সেই ময়নাকাঠ পুজো অনুষ্ঠিত হল আজ।এই ময়নাকাঠের কাঠামোর ওপরেই তৈরি হবে বড়দেবীর মূর্তি।গত ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরেই চলে আসছে এই পরম্পরা।
কোচবিহারে রাজাদের আমল থেকেই দুর্গাপুজোর সময় থেকে বড়দেবীর পুজো হয়ে থাকে। এই বড়দেবীর প্রতিমা তৈরিতে ৭ হাত লম্বা ময়নাকাঠের প্রয়োজন হয়। প্রথা মেনে ডাঙরাই মন্দিরে শ্রাবন মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে ময়নাকাঠের পুজো হয়। পরে সন্ধ্যায় শোভাযাত্রা সহকারে সেই ময়নাকাঠ নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের কাঠামিয়া মন্দিরে। সেখানে একমাস পুজো হওয়ার পর রাধাঅষ্টমী তিথিতে সেই ময়নাকাঠ নিয়ে যাওয়া হয় দেবী বাড়ির মন্দিরে।
সেখানে ময়নাকাঠের ওপরেই তৈরি হবে বড় দেবীর মূর্তি।দেবী এখানে রক্তবর্না। বড় দেবীর পাশে লক্ষ্মী, গনেশ, সরস্বতী, কার্তিক থাকে না।এখানে দেবীর পাশে থাকে জয়া ও বিজয়া।মহালয়ার পর প্রতিপদ তিথিতে ঘট বসিয়ে শুরু হয় বড় দেবীর পুজো।দশমী অবধি চলে পুজো।এই পুজোয় আগে নরবলির প্রচলন থাকলেও বর্তমানে অষ্টমী তিথিতে মোষ বলি হয়।
কোচবিহারের রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ময়নাকাঠ বা যুপছেদন পুজো অনুষ্ঠিত হল।এরপর সন্ধ্যায় ময়না কাঠ নিয়ে যাওয়া হবে মদনমোহন বাড়ির মন্দিরে।সেখানে একমাস পুজো হওয়ার পর সেই ময়না কাঠ নিয়ে যাওয়া হবে বড় দেবীর মন্দিরে।সেখানেই গড়া হবে বড় দেবীর প্রতিমা।