রাজগঞ্জ, ২৮ ডিসেম্বরঃ প্রথমে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার, এরপর চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে মৃত্যু হয় দুই যুবকের।রাজগঞ্জের ভান্ডারীগছে মৃত ২ যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়।বুধবার সকালে স্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়ে দুই পরিবারের দেখা করেন তিনি।দুই যুবকের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত যাতে হয় সেই বিষয়েও আশ্বাস দেন বিধায়ক।
মৃত দুই যুবকের নাম সাহিত মহম্মদ ওরফে রবিউল ইসলাম ও মুক্তি আজম।প্রসঙ্গত, সাহিতের সঙ্গে রাজগঞ্জের পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।গত শুক্রবার সাহিত ওই কিশোরীকে নিয়ে ঘুরতে যায়।এরপর প্রতিবেশী যুবক মুক্তি আজমকে নিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় সাহিত।সেখানে খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিল তারা।এরপর রাত ৯ টা নাগাদ সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের কাছে রাস্তার পাশ থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় দুই যুবক উদ্ধার হয়।সেখানে তাদের বাইকও পড়েছিল।ঘটনার পর দুজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসা চলাকালীন গত সোমবার এক যুবকের মৃত্যু হয় এরপর মঙ্গলবার অপর আরেক যুবকের মৃত্যু হয়।তবে এই ঘটনা যে দুর্ঘটনা তা মানতে নারজ মৃত দুই যুবকের পরিবার।খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।এই কারণে মঙ্গলবার রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।সঠিক তদন্তের দাবি তোলেন তারা।
এদিন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, আজ এই দুটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা অভিযোগ করছে, তাদের ছেলে পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়নি পরিকল্পিতভাবে কেউ বা কারা খুন করেছে। আমি আশ্বাস দিয়েছি ও রাজগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে সঠিক তদন্ত করা হয়।কেউ যদি অপরাধ করে থাকে তাদের ধরা হোক।