শিলিগুড়ি, ২১ জুনঃ গজলডোবা এলাকায় ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক হস্তিশাবকের।এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বন্যপ্রানী ও পশুপ্রেমী সংগঠন।
বৃহস্পতিবার ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় একটি হস্তিশাবক।খবর পেয়ে বনকর্মীরা পৌঁছে হস্তীশাবকটিকে উদ্ধার করে বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যায়।গতকাল রাতেই মারা যায় হস্তি শাবকটি৷এই ঘটনার প্রতিবাদে অভয়ারণ্যের মধ্যে থাকা প্রধান সড়ক গুলোতে ডাম্পারের চলাচল নিয়ে সরব হয় শিলিগুড়ি সহ জলপাইগুড়ির প্রায় দশটি বন্যপ্রানী সংগঠন।শুক্রবার শিলিগুড়ির জাবরাভিটায় উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভিকে স্মারকলিপি জমা দেন তারা৷তাদের দাবি, মূলত অভয়ারণ্য বা কোর ফরেস্টের মধ্যে দিয়ে যে সড়ক গুলো গিয়েছে সেই রাস্তায় বেশকিছু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
এই বিষয়ে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংস্থা স্ন্যাপ ফাইন্ডেশনের ডিরেক্টর কৌস্তভ চৌধুরী বলেন, গজলডোবায় ডাম্পারের ধাক্কায় হস্তিশাবকের মৃত্যু হয়েছে।আজ স্মারকলিপি জমা দেওয়া হল।ডাম্পার চলাচল নিয়ন্ত্রন, ক্যামেরা বসানো, স্পীড ব্রেকার ব্যবহার সহ প্রয়োজনে কোর ফরেস্টের মধ্যে দিয়ে ডাম্পার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করারও দাবি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, একটি হস্তিশাবকের মৃত্যু হয়েছে।আমরা উদ্ধার করে চিকিৎসা চালাচ্ছিলাম কিন্তু বাঁচাতে পারিনি।বন্যপ্রানী সংগঠনগুলো আজ আবেদন জানালেন ডাম্পারের গতিবিধি নিয়ে৷প্রয়োজনে রাতে ডাম্পারের গতিবিধির উপর নজরদারি, স্পীড ব্রেকার সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।