শিলিগুড়ি, ২০ মার্চ: ভরসা করে শেষপর্যন্ত প্রতারিত হলেন নিজের মেয়ে জামাইয়ের কাছেই।সর্বস্ব খুইয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধা।প্রধাননগরের বাসিন্দা জয়ন্তী ভৌমিক।তাঁর অভিযোগ, মেয়ে ও জামাই তাকে প্রতারিত করে জমি বিক্রি করেছেন।সর্বস্ব খুইয়ে কখনো মন্দিরে আবার কখনো ফুটপাতে রাত কাটিয়েছেন তিনি।তবে বর্তমানে ফুলবাড়িতে ছেলের কাছে রয়েছেন তিনি।ইতিমধ্যেই মেয়ে ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধা।
বৃদ্ধার অভিযোগ, ‘আমার মেয়ে আমাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ১১ লক্ষ টাকায় জমি বিক্রি করে দেয়। তখন ওরা বলেছিল, ওই টাকায় আমার নামে ফ্ল্যাট কিনবে, যাতে আমি ওদের কাছেই থাকতে পারি। কিন্তু পরে জানতে পারি, ফ্ল্যাট কিনলেও সেটি আমার নামে নয়, বরং নিজেদের নামে করেছে।’
বৃদ্ধার আরও অভিযোগ, পরে মেয়ে ও জামাই সেই ফ্ল্যাটটিও বিক্রি করে দেয় এবং তার ওপর অত্যাচার শুরু করে।তিনি জানান, ওদের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই ঠিকমতো খাবার দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।গত ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি আশ্রয়হীন অবস্থায় মন্দির ও ফুটপাতে দিন কাটাচ্ছিলেন। পরে তার ছেলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বর্তমানে তিনি ফুলবাড়িতে ছেলের বাড়িতে রয়েছেন।
নিজের মেয়ের এমন আচরণে মর্মাহত বৃদ্ধা বলেন, “ভেবেছিলাম মেয়ে তো, একদিন না একদিন বুঝবে মায়ের কষ্টের কথা। কিন্তু ভুল ভেবেছিলাম।”
অন্যদিকে এই বিষয়ে অভিযুক্ত মেয়ে মণি কর্মকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।