শিলিগুড়ি,৩ অক্টোবরঃ করোনার প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত মৃৎশিল্পীরা।প্রতি বছর গণেশ পূজা থেকে দুর্গা পূজা পর্যন্ত একটু ভালো রোজগারের আশায় বুক বাধেন মৃৎশিল্পীরা।তবে এবছর করোনার জেরে সেই আশাতে জল পড়েছে।
এবার শিলিগুড়ি শহরে গণেশ পূজা,বিশ্বকর্মা পূজা ছোট করেই পালিত হয়েছে।বেশিরভাগ জায়গায় পুজো হয়নি।যে কারণে এবার মূর্তির চাহিদাও অনেকটাই কম ছিল।মূর্তি বিক্রি না হওয়ায় সেইসময় ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন শিলিগুড়ির কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা।
এদিকে সামনেই দুর্গা পূজা।প্রতি বছর এইসময় দম ফেলার ফুরসৎ থাকেনা মৃৎশিল্পীদের।তবে এবছর করোনার জেরে শিলিগুড়ির কুমোরটুলির সেই চিত্রটাই যেন পাল্টে গিয়েছে।এবছর ছোট করেই হচ্ছে শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলো।অন্যদিকে বেশকিছু পুজো কমিটি এবছর পুজো করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়েছে কয়েকগুন। অন্যদিকে প্রতিমার দাম কমেছে অনেকটাই। বিগত বছরের তুলনায় প্রতিমার চাহিদা নেই। প্রতিমার অর্ডার মিলেছে অনেক কম। স্বাভাবিক ভাবেই দিনভর কাজ করেও তার সুফল পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহে রয়েছে শিল্পীদের। মূলত পেশাদারিত্ব বজায় রাখতেই চরম সংকটের মুখে দাঁড়িয়েও প্রতিমা তৈরি কাজ করে চলেছেন শিলিগুড়ির কুমোরটুলির শিল্পীরা।
শিল্পীরা জানিয়েছেন, আগে খড় কেজি প্রতি ৪ টাকা ছিল। বর্তমানে খড়ের দাম কেজি প্রতি ১৩ টাকা।পাশাপাশি ১ কেজি সুতলির দাম ছিল ৮০ টাকা, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১২০ তে।একইভাবে বাড়ছে বাঁশের দাম।বর্তমানে বাঁশের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাটির দামও।
শ্যাম পাল নামে এক শিল্পী বলেন, বহু বছর ধরেই প্রতিমা গড়ার কাজ করে আসছি। এমন পরিস্থিতিতে কখনও পড়তে হয়নি। এবার চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছি। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হলেও বড় প্রতিমার দাম গড়ে ৫-৭ হাজার টাকা করে কমেছে। অন্যদিকে, বড় প্রতিমার চাহিদাও নেই। ছোট মাপের প্রতিমার দামও অনেকটা কমেছে। কিন্তু খরচ বাড়ছে যথেষ্ট।