আলিপুরদুয়ার,৫ জানুয়ারিঃ উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় বাঙালি সাহিত্যিক হিসেবে এবছরের সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের সৌভিক দে সরকার।তেলেগু সাহিত্যিক ওয়াই.বি সত্যনারায়ণের ‘মাই ফাদার বালাইয়া’ নামের এক দলিত তেলেগু পরিবারের আত্মকথা বাংলায় অনুবাদ করে এবছর সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার পাচ্ছেন সৌভিক।তিনি আলিপুরদুয়ারের গোবিন্দ হাইস্কুলের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।
উত্তরবঙ্গ থেকে অমিয়ভূষণ মজুমদারের পর দ্বিতীয় বাঙালি সাহিত্যিক হিসেবে সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার পাচ্ছেন সৌভিক বাবু।তাঁর পুরষ্কার প্রাপ্তির কথা জানাজানি হতেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ারের সাহিত্য চর্চার আঙিনায়। এছাড়াও তাঁর সাফল্যে গর্বিত শিক্ষক মহলও। ৩০ ডিসেম্বর সাহিত্য একাডেমির তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এবছরের সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।সৌভিক দে সরকারের সঙ্গে গোটা দেশে আরো ২১ জন এবার ওই অনুবাদ সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার পাচ্ছেন।প্রতিবছর দেশের মোট ২২টি ভাষার জন্য একাডেমি পুরষ্কার দেওয়া হয়।চলতি বছরে এই ২২ জন প্রাপককেই সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার স্বরূপ তাম্রপত্র ও নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।শিক্ষকতার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে সৌভিক বাবুর।মূলতঃ মৌলিক কবিতা ও অনুবাদ সাহিত্যে তিনি বরাবর আগ্রহী।
সৌভিক বাবু বলেন, অনুবাদ সাহিত্য আমাকে ভিষণ ভাবে টানে। ২০১৭ সালে আমি ওই তেলেগু সাহিতয়ের প্রতি আকর্ষণ অনুভব কারি।মূলত দলিতদের ঠিক কী ভাবে দক্ষিণ ভারতে ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে নেমে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে দেড়শো বছরের সেই ইতিহাস বইটির মূল উপজীব্য বিষয়।বইটি অনুবাদ করতে আমার প্রায় দেড় বছর সময় লেগেছে। বইটি বাংলায় প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠকদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল তবে এই সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার আমাকে সাহিত্য নিয়ে আরো নতুন নতুন কাজের জন্য উৎসাহিত করবে।যে কোনো পুরষ্কারই সম্মানের।সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার পেয়ে সুখানুভূতি হচ্ছে।