রাজগঞ্জ, ১১ ফেব্রুয়ারিঃ রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির ১১১ তম উপনয়ন দিবস পালনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রাজবংশী ক্ষত্রিয় মিলন দিবস এবং কুলগুরু কুলশিষ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল।
উত্তরবঙ্গ ক্ষত্রিয় রাজবংশী কুলগুরু কুলশিষ্য ও ভক্ত সমাজ সেবা প্রতিষ্ঠানের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির ব্যবস্থাপনায় আমবাড়ি এলাকার মেহেন্দিগছে করতোয়া নদীর পাড়ে এই উৎসব পালন করা হয়।শনিবার বিভিন্ন পূজার্চনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।এদিনের সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও নেপাল থেকে বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করেন।পাশাপাশি এদিন ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তি উদ্বোধন করা হয়।
কুলগুরু কুলশিষ্য ও ভক্ত সমাজ সেবা প্রতিষ্ঠানের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সভাপতি করুণাকান্ত অধিকারী বলেন, প্রথম পর্বে শিব পুজো, গঙ্গা পুজো, শক্তি সঞ্চারিণীপুজো ও রাধাগোবিন্দ পুজো করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে মূল অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।এদিন দুই শতাধিক কিশোর ও যুবক উপনয়নের মাধ্যমে ক্ষত্রিয় হন।এরপর রাজবংশী সমাজে উপনয়নের প্রয়োজনীয়তা এবং ঠাকুর পঞ্চাননের উপরে আলোচনা সভা হয়। বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই আলোচনায় অংশ নেন। রাজগঞ্জে প্রতিবছর মেহেন্দিগছে করতোয়া নদীর পাড়ে উপনয়ন দিবস পালন করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন,মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন , জেলা পরিষদের কো-মেন্টর আহিদার রহমান, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য দেবাশীষ প্রামাণিক,মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খুকুমণি রায়, হরদেব অধিকারী সহ অন্যান্যরা।