জলপাইগুড়ি, ১৩ সেপ্টেম্বরঃ রাজগঞ্জের দুই নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রথমিকভাবে এখনও পর্যন্ত যে মেডিক্যাল রিপোর্ট এসেছে তাতে গণধর্ষণের প্রমান পাওয়া যায়নি বলে দাবি করলেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়াপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।
রবিবার কলকাতা থেকে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়াপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী সহ মোট ৩ সদস্যের একটি দল জলপাইগুড়িতে পৌছায়।প্রথমে এই দলটি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছে ভর্তি থাকা নাবালিকার সাথে কথা বলেন।এরপর জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি, জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটর চেয়ারপার্সন বেবী উপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, এখনও পুলিশের তদন্ত শেষ হয়নি।তবে এখনও পর্যন্ত যে মেডিক্যাল রিপোর্ট এসেছে তাতে গণধর্ষণের কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি।এক নাবালিকা মারা গেলেও তার ছোট বোন এখন ভালো আছে।পুলিশকে বলা হয়েছে এই নাবালিকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৪ তারিখে রাজগঞ্জ ব্লকের সন্যাসীকাটা গ্রামের দুই নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে।দুদিন নিখোঁজ থাকার পর ৬ সেপ্টেম্বর বাড়ি ফিরে আসে দুই নাবালিকা।সেইদিনই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে দুই নাবালিকা।এরপর বড় বোনের মৃত্যু হলেও ছোট বোনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।ছোট বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকার পরিবার স্থানীয় ৫ জনের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।পুলিশ তদন্ত নেমে অভিযুক্ত ৫ যুবককে গ্রেফতার করে।